থানার কাছাকাছি দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার দুপুরে, শিবপুর বাজারের মধ্যে একটি চারতলা আবাসনে। পুলিশ জানায়, ওই আবাসনের চারতলায় স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন সম্পদনাথ বঙ্ক। সম্পদনাথবাবু পেশায় ব্যবসায়ী। রোজকার মতো এ দিনও তিনি সকালে কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ফ্ল্যাটে ছিলেন স্ত্রী শোভা বঙ্ক ও মেয়ে পায়েল বঙ্ক। তাঁরা দুপুর ১টা নাগাদ ফ্ল্যাট বন্ধ করে কাছেই এক আত্মীয়ের বাড়ি যান। পুলিশ জানায়, সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা ওই আবাসনে ঢোকে। চারতলায় উঠে প্রথমেই তারা শোভাদেবীদের উল্টো দিকের ফ্ল্যাটের হুড়কো টেনে দেয়। এমনকী, ওই ফ্ল্যাটের আই-হোলে কাগজও সেঁটে দেয় তারা। |
বিকেল ৩টে নাগাদ শোভাদেবী ও মেয়ে ফিরে দেখেন, কোল্যাপসিব্ল গেট খোলা। ভিতরের দরজা ভেজানো। তা দেখেই সন্দেহ হয় শোভাদেবীর। ফ্ল্যাটে ঢুকে তাঁরা দেখেন, সব ঘরের আলমারি খোলা। ঘর লণ্ডভণ্ড। গয়নার বাক্স ফাঁকা। এমনকী, উধাও নগদ ২৬ হাজার টাকাও। শোভাদেবীর অভিযোগ, প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার গয়না চুরি গিয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, আলমারির লকার দুষ্কৃতীরা ভাঙতে পারেনি। সে কারণে লকারে রাখা
দেড় লক্ষ টাকা খোয়া যায়নি। শোভাদেবী বলেন, “ঘরে ঢুকে ওই অবস্থা দেখে চমকে উঠি। সঙ্গে সঙ্গে স্বামীকে ফোন করে ঘটনাটি জানাই। পুলিশেও খবর দিই।” পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা তালা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল। তালাটি রাখা ছিল ঘরের ভিতরে সোফায়। এমনকী, তারা চাবি দিয়ে আলমারি খুলেছিল। তা দেখে পুলিশের অনুমান, সম্পদবাবুদের পরিচিত কেউ এই কাজ করেছে। এ দিকে, থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। শোভাদেবীদের এক প্রতিবেশী নীরজ সিংহ বলেন, “গত ১০ বছরে এলাকায় এই ধরনের চুরি হয়নি। থানার কাছেই চুরি হল। কিন্তু পুলিশ এল তিন ঘণ্টা পরে। আমরা আতঙ্কিত। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।” এ ব্যাপারে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার অজেয় রানাডে বলেন, “স্থানীয় থানার উচিত ছিল খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাওয়া। কিন্তু স্থানীয় একটি স্কুলে গোলমাল হওয়ায় সেখানে পুলিশ গিয়েছিল। ফলে ওই আবাসনে পুলিশের পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীরা শীঘ্রই ধরা পড়বে।” |