তিন দিন ধরে নিখোঁজ পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃতদেহ মিলল বাড়ি লাগোয়া পুকুর থেকে। মঙ্গলবার সকালে হুগলির দাদপুর থানার শুকপুকুর গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম কার্তিক হাঁসদা (১১)। জমিজমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে বিবাদের জন্যই পড়শি শম্ভু দাস ছেলেকে খুন করেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা রাবণ হাঁসদা। পুলিশ শম্ভুবাবুকে আটক করেছে। শম্ভুবাবু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। |
শোকার্ত পরিবার।—নিজস্ব চিত্র। |
ওই ছাত্রকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তথাগত বসু জানান, মৃতদেহের মুখে এবং নাকে সামান্য রক্তের দাগ মিলেছে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেশ্বরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র কার্তিক গত শনিবার দুপুরে তার মাকে ভাত বাড়তে বলে বাড়ির বাইরে আসে। তার পর থেকেই তার আর খোঁজ মেলেনি। রবিবার রাবণবাবু পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মঙ্গলবার সকালে এক গ্রামবাসী দেহটি পুকুর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখেন। তার পরেই বিষয়টি জানাজানি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে।
রাবণবাবুর অভিযোগ, “আমি খেতমজুরি করে সংসার চালাই। গ্রামেই আমার পৈতৃক জমি রয়েছে। শম্ভু সেই জমি দখল করতে চায়। সে জন্য প্রায়ই হুমকি দিচ্ছিল। আমি কান দিতাম না। সেই কারণে শম্ভুই ছেলেকে খুন করল।” একই অভিযোগ তুলে তাঁর স্ত্রী রিনাদেবী বলেন, “সোমবারও আমি অনেকবার পুকুরে গিয়েছি। তখন কিছুই দেখতে পাইনি। অথচ, মঙ্গলবার সকালে দেহ পাওয়া গেল পুকুরে!” অভিযোগ অস্বীকার করে শম্ভুবাবুর দাবি, “আমি কেন ছেলেটাকে মারতে যাব? ওর বাবা আমার নামে অপবাদ দিচ্ছে। জমিজমা নিয়ে ওর বাবার সঙ্গে আমার কোনও গোলমাল নেই। ওটা ওদের পারিবারিক গোলমাল। তাতে আমি কেন নাক গলাতে যাব?” |