বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন পরিবেশ বাঁচাতে এবং জ্বালানি খরচ রুখতে সাইকেল চালানোর উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। এ দেশের বিভিন্ন শহরেও গুরুত্ব বাড়ছে পরিবেশ-বন্ধু সাইকেলের। অথচ, কলকাতা শহরের ১৭৪টি রাস্তায় নিষিদ্ধ সাইকেল। কলকাতা পুলিশের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাস্তায় নামল সাইকেল আরোহীদের সংগঠন ‘কলকাতা সাইকেল আরোহী অধিকার ও জীবিকারক্ষা কমিটি’। এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ হাজরা মোড় থেকে বিড়লা তারামণ্ডল পর্যন্ত মিছিল করেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, বাম আমলে কলকাতার ৩৮টি রাস্তায় সাইকেল চালানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা হয়েছিল। কিন্তু গত ২৯ মে কলকাতা পুলিশ শহরের ১৭৪টি রাস্তায় সাইকেল চালানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সংগঠনের নেতাদের দাবি, “এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শহরের গরিব মানুষ। তাঁদের জীবিকায় টান পড়ছে।” সংগঠনের সম্পাদক রঘুনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “সারা বিশ্বে এখন পরিবেশবন্ধু হিসেবে সাইকেল চালানোর উপরে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই শহর উল্টো পথে হাঁটছে। আমরা কলকাতা পুলিশকে রাস্তায় পৃথক সাইকেল লেন তৈরির পরামর্শও দিয়েছিলাম। কিন্তু তা-ও কার্যকর হয়নি। বাধ্য হয়েই আমরা রাস্তায় নেমেছি।” রঘুনাথবাবু জানান, মিছিল শেষে পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেছেন তাঁরা। |
পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র এ দিন বলেন, “সাইকেল দেখলেই ধরো, এমন কিছু হয়নি। তবে আমরা সমস্যাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সরকারের শীর্ষ স্তরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
তবে বিদেশের মতো কলকাতা শহরের রাস্তার অবস্থা নয় বলেই প্রত্যেক রাস্তায় সব সময়ের জন্য সাইকেল চালানোর অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না বলেই দাবি করছেন কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) দিলীপ আদক বলেন, “কলকাতায় যে ভাবে গাড়ি বাড়ছে, তাতে কয়েকটি রাস্তায় ব্যস্ত সময়ে সাইকেল-সহ বিভিন্ন শ্লথ গতির গাড়ি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু কলকাতায় এত লেন এবং বাই-লেন আছে, তাতে কোথাও যেতে কারও অসুবিধে হবে না। রাস্তায় গাড়ির গতি বাড়াতে এখনই অন্য উপায় ছিল না। অন্য উপায় কী হতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।” |