নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
বিশ্বভারতীর আশ্রম এলাকা সাফাই করা দায়িত্বের দখলকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ালেন দু’ দল অস্থায়ী সাফাই কর্মী। ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ছ’ জন জখম হয়েছেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দু’ পক্ষই শান্তিনিকেতন তদন্ত কেন্দ্রে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। বিশ্বভারতীর মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক ইউ পি সিংহ বলেন, “গোটা বিষয়টিই পুলিশকে জানানো হয়েছে।”
বিশ্বভারতী ও পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বভারতী এলাকা সাফাইয়ে আশেপাশের শতাধিক আদিবাসী পুরুষ ও মহিলাকে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, গত তিন বছর ধরে ওই এলাকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের দায়িত্ব যে দলের, এ দিন অন্য দলটি তাঁদের সেই কাজ করতে দেননি। যার জেরে অস্থায়ী সাফাইকর্মীদের দু’ দলের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। প্রথমে বচসা পরে হাতাহাতি এবং ঝাঁটা ও লাঠি নিয়ে মারামারির পর্যায়ে যা পৌঁছয়। ঐতিহ্যবাহী আশ্রম এলাকায় এমন কাণ্ড ঘটতে দেখে ঘটনায় তটস্থ হয়ে পড়েন বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা কর্মীরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। শান্তিনিকেতন তদন্ত কেন্দ্রের আইসি অশোক সিংহ মহাপাত্র, এএসআই নারায়ণচন্দ্র নন্দী এগারোটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে তার খুব কাছেই ঐতিহ্যবাহী উপাসনা মন্দির, শান্তিনিকেতন গৃহ। ঢিল ছোড়া দূরত্বেই পাঠভবনের কচিকাঁচারা পড়াশোনা করছে। সেখানে এই ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনায় বিশ্বভারতীর বিভিন্ন মহল ক্ষুব্ধ।
|