উৎপাদন শুরু করতে চালু করা হয়েছিল আরও একটি ইউনিট। কিন্তু শুরুতেই বিগড়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই সপ্তম ইউনিটটি। ফলে, দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডে (ডিপিএল) উৎপাদনের পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হয়নি মঙ্গলবারেও। এর মধ্যে একমাত্র আশার কথা, ষষ্ঠ ইউনিটে উৎপাদনের মাত্রা আগের তুলনায় সামান্য বেড়েছে।
রক্ষণাবেক্ষণ জনিত কারণে দিন দশেক আগে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ষষ্ঠ ও সপ্তম ইউনিট দু’টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট দু’টি পরিত্যক্ত। পঞ্চম ইউনিটে উৎপাদন খরচ তুলনামূলক বেশি। তাই চালু রাখা হয়েছিল তৃতীয় ও চতুর্থ ইউনিট দু’টি। কিন্তু দেখা যায়, পুরনো এই দুই ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ যা হচ্ছে, বিক্রি করে অর্থ আসছে তার থেকে অনেক কম। শেষ পর্যন্ত ৯ ডিসেম্বর থেকে কর্তৃপক্ষ সে দু’টিও বন্ধ করে দেন। ফলে উৎপাদন নেমে আসে শূন্যে। গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ কিনে কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দিতে শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। |
কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়েছিল নানা শ্রমিক সংগঠন। শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে তড়িঘড়ি ষষ্ঠ ইউনিটটি চালু করা হয়। কিন্তু ১১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিটটি ৫৫ মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদন করতে পারছিল না। মঙ্গলবার তিনশো মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সপ্তম ইউনিটটি চালু করতে উদ্যোগী হন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ডিপিএল সূত্রে খবর, চালু করা মাত্র সেই ইউনিট থেকে অস্বাভাবিক রকম ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। চালু হওয়া মাত্রই কার্যত সেটি বিগড়ে যায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইউনিটটি। সংস্থার এক আধিকারিক জানান, কোনও খুচরো ত্রুটির কারণে এমন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। দ্রুত সারাই করে ফেলার আশ্বাস দেন তিনি।
ডিপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে গত কয়েক দিনের মতো এ দিনও গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হয়েছে। ওই আধিকারিক জানান, এ দিন গ্রিড থেকে প্রায় ১৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে হয়েছে। তবে আশার কথা একটাই, ষষ্ঠ ইউনিটের উৎপাদন পূর্ণমাত্রায় না পৌঁছলেও আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে। তাই অন্য দিনের তুলনায় মঙ্গলবার কিছুটা কম বিদ্যুৎ কিনতে হয়েছে এই সংস্থাকে। |