এক বছরের বেশি সময় মিড ডে মিল বন্ধ থাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। সোমবার কোচবিহার সুটকাবাড়ি এক্রামিয়া হাই মাদ্রাসার পড়ুয়ারা কোচবিহার-মাথাভাঙা রাস্তা অবরোধ করে। বেলা ১১ টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখায় তারা। সুটকাবাড়ি বাজার লাগোয়া এলাকায় ওই অবরোধে নিত্যযাতীরা ভোগান্তির মুখে পড়েন। পরিস্থিতি সামলাতে ব্লক প্রশাসনের কর্তারা গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অবরোধ ওঠে। ডিআই (মাধ্যমিক) মহাদেব শৈব এ দিন বলেন, “এত দিন মিডডে মিল বন্ধ থাকার কথা নয়। বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।” কোচবিহার ১ বিডিও স্বপন প্রামাণিক বলেন, “অভন্ত্যরীণ সমস্যা থাকায় মিডডে মিল বন্ধ রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়। প্রধানশিক্ষক অসুস্থতার জন্য সেপ্টেম্বর থেকে ছুটি নিয়ে আছেন। সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখে দ্রুত মিড ডে মিল চালুর ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছি।” আর মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষক রৌশন জামাল জানান, ২০১২ সালের জুলাই থেকে মিডডে মিল বন্ধ। চালের মান খারাপ বলে ফেরত দিতে বিডিও অফিসে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু চাল পাল্টে না দেওয়ায় সমস্যা হয়। আমার কাছে সমস্ত নথি রয়েছে।”
|
এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জ থানার বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাড়িয়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, জখম ব্যক্তির নাম মেহেতাব আলি। পেশায় চাষি ওই ব্যক্তির বাড়ি ওই এলাকাতেই। তিনি জমি কেনাবেচার ব্যবসা করেন। রাড়িয়া এলাকা থেকে বাজার করে হেঁটে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে দুইজন দুষ্কৃতী বাইকে এসে তাঁকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁর পেটে গুলি লাগে। বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। এদিন পুলিশ রাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালালে দুষ্কৃতীরা তাদের বাইকটি ফেলে পালায়। এর আগে সিপিএম সমর্থক বলে পরিচিত মেহেতাব আলি ১৫ জুলাই রাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই দিনও তিনি গুলিবিদ্ধ হলেও বেঁচে যান। রায়গঞ্জ থানার আইসি দীনেশ প্রামাণিক বলেন, “জমি নিয়ে বিবাদের জেরেই সম্ভবত দুষ্কৃতীরা এই নিয়ে দুই বার মেহেতাব আলিকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করল।”
|
পেনশন ও অবসরকালীন সুবিধের দাবিতে আন্দোলনে নামল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। সোমবার নিগমের পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১৫০ জন সদস্য নিগমের রায়গঞ্জ ডিপো চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। নিগমের রায়গঞ্জের ডিভিশনাল ম্যানেজার স্মারকলিপি জমা নিতে রাজি না হওয়ায় সংগঠনের তরফে ফ্যাক্স পাঠিয়ে নিগমের ম্যানিজিং ডিরেক্টরের কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়। অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, গত প্রায় দুবছর ধরে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা নিয়মিত প্রতি মাসের প্রথমে পেনশন পাচ্ছেন না। অবসরপ্রাপ্তরা নভেম্বর মাসে পেনশন পাননি বলে অভিযোগ। অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পরিতোষ দেবনাথ বলেন, “নিগম কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত পেনশন ও অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা না দেওয়ায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নিগমের সাড়ে তিন হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সমস্যায় পড়েছেন। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা উত্তরবঙ্গ জুড়ে সরকারি বাস অবরোধ করবেন।” ডিভিশনাল ম্যানেজার সুবীর সাহা মন্তব্য করতে চাননি। নিগমের অন্যতম বোর্ড সদস্য তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তিলক চৌধুরী বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।”
|
লোকসভায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে দীপক রায়ের নাম ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে কোচবিহার জেলা ফরওয়ার্ড ব্লক। ‘ঝিমিয়ে’ পড়া কর্মী সমর্থকদের চাঙা করে প্রচার কৌশল বদলে জনসংযোগ বাড়ানোর কাজে নামলেন দলের জেলা নেতৃত্ব। এদিন থেকে কোচবিহারে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মীসভার কাজ শুরু করে ফরওয়ার্ড ব্লক। দলের জেলা দফতরে দলের কোচবিহারে দুটি বিধানসভা এলাকার নেতা কর্মীদের নিয়ে প্রথম সভাটি হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার শীতলখুচি ও মাথাভাঙায় কর্মী সভা হবে। ১৮ ডিসেম্বর সিতাই ও ১৯ ডিসেম্বর দিনহাটা বিধানসভা এলাকার কর্মীদের নিয়ে সভা হবে। এ দিনের কর্মী সভায় তৃণমূলের তরফে প্রচারে বাঁধা দেওয়ার আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে লোকসভা ভোটের প্রচারে কৌশল বদলানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। বড় সভা, মিছিল, দলবেঁধে বাড়ি যাওয়ার বদলে প্রতি ভোটারের কাছে পৌঁছতে এক জন করে কর্মীকে দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারেও জোর দেন জেলা নেতারা। রাজ্য সরকারের কাজের সমালোচনার পাশাপাশি বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে খোঁজখবর রেখে তাঁদের সাহায্য করার জন্য কর্মীদের পরামর্শ দেওয়া হয়। কোচবিহারের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “বিশাল গঙ্গায় ইলিশের ঝাঁক ঘোরাঘুরি করায় সহজেই জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়ে যায়। কিন্তু একেকটি ইলিশ একা চলাফেরা করলে তাকে ধরা মুশকিল। তাই কৌশল বদলাতে হচ্ছে।”
|
দুটি পৃথক মামলায় জেল ও জামিন হল সারদা’র কর্ণধার সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের। তাদের এক মাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর বিশেষ আদালতে তাঁদের তোলা হলে বিচারক সৈয়দ নুরুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। তবে এ দিনই তাঁদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে সঞ্জয় চৌধুরীর এজলাসে অন্য এক মামলায় জামিন দেওয়া হয়। গত ১৬ এপ্রিল ২০১৩ তে সারদা ট্যুর এবং ট্র্যাভেলস নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সুদীপ্ত ও দেবযানী সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে গঙ্গারামপুর থানায় অভিযোগ জয়নাল আবেদিন সরকার। ওই মামলার শুনানিতে এক মাসের জেল হাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ৩ মে ২০১৩ তে সঞ্জিত হাঁসদা নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা অন্য একটি মামলায় তাদের জামিন হয়ে যায়। অভিযুক্তদের ফের ১৭ জানুয়ারি আদালতে তোলা হবে। |
পরিত্যক্ত ব্যাগকে ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়াল কোচবিহার রাজবাড়িতে। সোমবার দুপুরে রাজবাড়ির টিকিট কাউন্টার এলাকায় ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। পুলিশ ব্যাগ খুলে জামাকাপড় উদ্ধার করে। |