চলতি আর্থিক বছরে এখনও ১০০ দিনের কাজ চালু করতে পারেনি পঞ্চায়েত। গাফিলতির অভিযোগে প্রশাসন ওই পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের প্রকল্পের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ দিনের কাজ চালু করতে না পারলে আগামী আর্থিক বছরে উন্নয়নমূলক কোনও তহবিলে টাকা বরাদ্দ করা হবে না বলেও প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত দফতরে বিক্ষোভ দেখাল যুব কংগ্রেস।
সোমবার দুপুর ১টা থেকে ঘণ্টা তিনেক যুব কংগ্রেসের শতাধিক কর্মী সমর্থক রায়গঞ্জের বিন্দোল পঞ্চায়েত দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। সিপিএম পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের প্রধানকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ জালালুদ্দিন ও পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ দিনের কাজ চালু করা না হলে যুব কংগ্রেসের তরফে অনির্দিষ্টকালের জন্য পঞ্চায়েত দফতরে তালা মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েতের প্রধান চাঁদিমা রায় বলেন, “আমরা পঞ্চায়েতে নতুন দায়িত্ব নেওয়ায় অনেক কাজ বুঝে উঠতে পারিনি। ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ চালু করাই এখন লক্ষ্য।” জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া বলেন, “নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শুরু না হলে টাকা ফিরে যাবে। সরকারি নিয়ম অনুসারে, তহবিলে টাকা বরাদ্দও বন্ধ হয়ে যাবে।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে গত এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় সরকার বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতকে জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে ১০০ দিনের কাজের তহবিলে ৯ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা বরাদ্দ করে। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে ১০০ দিনের কাজ শুরু করা বাধ্যতামূলক ছিল। সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কাজ শুরু না হওয়ায় প্রায় দু’সপ্তাহ আগে প্রশাসন পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের প্রকল্পের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়।
প্রাক্তন উপপ্রধান তথা হেমতাবাদ বিধানসভা যুব কংগ্রেস কমিটির সহ সভাপতি মনসুর আলি বলেন, “এমন হলে আমরা পঞ্চায়েত দফতরে তালা ঝুলিয়ে দেব।” |