কর্মী-অফিসারের অভাবে বঙ্গীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের পাঁচটি শাখায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। এর মধ্যে একটি শাখায় সোমবার বিক্ষোভও দেখালেন গ্রাহকেরা।
চাঁচল মহকুমার কলিপুর, আশাপুর, ভিঙ্গোল, চণ্ডীপুর এবং কুমেদপুর শাখায় এ দিন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। কলিগ্রাম শাখায় নোটিস দিয়ে লেনদেন বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়। দুর্ভোগে পড়ে গ্রাহকরা কলিগ্রামে বিক্ষোভও দেখান। যদিও পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘ভুল’ করে ওই শাখার তরফে নোটিশ ঝোলানো হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার থেকে জরুরি লেনদেন হবে।
ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল মহকুমার অধিকাংশ কর্মী-অফিসার কলকাতায় প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছেন। এর ফলে মাত্র দু’জন কর্মী থাকা ব্যাঙ্কের ওই ৫টি শাখায় কর্মী সংখ্যা কমে এক জন হয়ে যায়। যার জেরেই ব্যাঙ্কগুলিতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্কের মালদহের আঞ্চলিক ম্যানেজার অশোক চক্রবর্তী বলেন, “প্রতিটি শাখাতেই কর্মী কম। তার মধ্যে মালদহ থেকে ৩৮ জন কর্মী পদোন্নতির পরীক্ষার জন্য কলকাতায় ৬ দিনের প্রশিক্ষণে গিয়েছেন। যে ৫টি ব্যাঙ্কে সমস্যা হয়েছে সেখানে শুধুমাত্র ম্যানেজাররা রয়েছেন। কিন্তু একজনের পক্ষে লেনদেন করা সম্ভব নয়।” কলিগ্রামের শাখার প্রসঙ্গে অশোকবাবু বলেন, “প্রতিটি শাখাকেই বলা হয়েছিল জরুরি প্রয়োজনে টাকা লাগলে তা যেন দেওয়া হয়। কিন্তু কলিগ্রামের ম্যানেজার ভুল করে লেনদেন বন্ধের নোটিশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার থেকে জরুরি ক্ষেত্রে ওই ৫ ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা যেন টাকা পান তা ম্যানেজারদের দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |