ছ’দিন নিখোঁজ থাকার পরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ মিলল বাড়ির কাছেরই একটি পুকুরে। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ গাইঘাটার গাজনা কালীতলা এলাকায় ওই দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ জানায়, তাঁর নাম কার্তিক দত্ত (৪৮)। বাড়ি স্থানীয় এলাকাতেই। ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরোনোর পরে আর ফেরেননি কাঠের মিস্ত্রী কার্তিকবাবু। পর দিন তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা গাইঘাটা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ওই দিনই সদানন্দ ভট্টাচার্য নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে ধরে পুলিশ। তাঁরা ওই রাতে এক সঙ্গে মদ খেয়েছিলেন বলে জানায় পুলিশ। তাঁর সঙ্গেই শেষবার কার্তিকবাবুকে দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে তখন অপহরণের মামলা করে পুলিশ। তবে দেহ উদ্ধারের পরে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানায়, মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ময়নাতদন্তের জন্য তা বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসিন্দারা পুলিশের কাছে তদন্ত করে অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
|
চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে কাজ করতে ঢুকেছিলেন দু’জন। হায়দরাবাদে মাংস প্যাকিংয়ের কাজ করার সময়ে পরিচয় হয় ওড়িশার এক তরুণীর সঙ্গে। এক জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কও তৈরি হয় তাঁর। বিয়ে করবেন বলে চোরাপথে বাংলাদেশে ফিরতে চাইছিলেন। তার আগেই ধরা পড়ে গেলেন পুলিশের হাতে। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলানন্দপুর এলাকার এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ইমরান হোসেন ও দিলওয়ার হোসেন এবং ওড়িশার তরুণী লীলা প্রধান। তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ধরা হয়েছে বয়রা পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য সুকুরা খাতুনের স্বামী জিয়ারুল বিশ্বাসকে। ইমরান ও দিলওয়ার বাংলাদেশের যশোহর জেলার ঝিকরাগাছা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, বছর খানেক আগে চোরা পথে এ দেশে এসেছিল ইমরান ও দিলওয়ার। হায়দরাবাদে যেখানে কাজ করতে ঢুকেছিল, লীনাও সেখানকার কর্মী। পরবর্তীতে ইমরানের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বাংলাদেশে গিয়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। সোমবার সকালে দালাল ধরে চোরা পথে বাংলাদেশ যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু বাগদার জিয়ারুল বিশ্বাসের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কী, সে কেন তাদের আশ্রয় দিয়েছিল সে ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ।
|
কলকাতা থেকে গাড়িতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক কিশোরীর। মারা গিয়েছেন গাড়ির চালকও। গুরুতর জখম হন ওই কিশোরীর মা, বাবা ও জেঠা। সোমবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবারের মোহনপুর বাস মোড়ের কাছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃতদের নাম তাপস হাজরা (৩৭) এবং শ্বেতা সাহা (১২)। তাপসের বাড়ি ডায়মন্ড হারবারের লালপোলে। শ্বেতা পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বেতাদের গাড়িটির সঙ্গে ডায়মন্ড হারবার থেকে রায়চকগামী একটি বাসের ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই মারা যান গাড়ির চালক তাপস। গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল। স্থানীয় লোকজন গাড়িটির দরজা-জানলা কেটে শ্বেতা, তার বাবা রাম সাহা, মা গীতাদেবী এবং জেঠা প্রবীরবাবুকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকেরা শ্বেতাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পরে বাস ফেলে চালক পালিয়ে যায়। পুলিশ বাসটি আটক করেছে।
|
আজ, মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে সুন্দরবন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা। বাসন্তীর সুন্দরবন হাইস্কুল মাঠে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা, সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, জেলা সভাধিপতি শামিমা শেখ, ডিআইজি (পিআর) আনন্দ কুমার, আইজি সাউথ বেঙ্গল সঞ্জয় সিংহ, এডিজি আইবি বাণীব্রত বসু, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই ও গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর প্রমুখ। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিযোগিতায় সুন্দরবনের ১৬টি থানার ৫৩৬টি দল খেলবে। এর মধ্যে ৩২টিই মহিলাদের ফুটবল দল। চ্যাম্পিয়ন দলকে ২৫ হাজার টাকা ও রানার্স দলকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে খবর। |