সোনা বন্ধক রেখে ঋণ দেওয়া হয় অফিসটি থেকে। বন্ধক রাখা সোনা থাকে অফিসের ভিতরেই। দুষ্কৃতীদের তাই ধারণা হয়েছিল, দরজা ভেঙে অফিসে ঢুকতে পারলেই কেল্লা ফতে। কিন্তু লোহার শাটার ভাঙতেই সেই খবর যে মোবাইলের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে অফিসের ম্যানেজারের কাছে, তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি তারা। ম্যানেজারের কাছ থেকে খবর পেয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই হাজির হয় পুলিশ। ফলে দুষ্কৃতীদের চুরির চেষ্টা পুরোপুরি ভণ্ডুল হয়ে যায়। তাদের অবশ্য ধরা যায়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুর থানার আমতলায়। পুলিশকে দেখে হতচকিত দুষ্কৃতীরা সোনার আশা ছেড়ে পড়িমড়ি করে পালাতে থাকে। তাদের পিছু ধাওয়া করে পুলিশ। পালানোর সময়ে দুষ্কৃতীরা পুলিশকে লক্ষ করে এক রাউন্ড গুলিও চালায়। কিন্তু গুলিটি এক পুলিশকর্মীর শরীর ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। রূপককান্তি ভান্ডারী নামে ওই পুলিশকর্মী চোট গুরুতর নয় বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কী হয়েছিল রবিবার রাতে?
পুলিশ জানায়, বন্ধক রাখা সোনা অফিসেই থাকে জেনে আমতলা বাজারের কাছে ওই অফিসে হানা দিয়েছিল জনা ছয়েক দুষ্কৃতী। অফিসটি একটি নির্মীয়মাণ বাজারের দোতলায়। দুষ্কৃতীরা শাটার ভেঙে অফিসে ঢোকার চেষ্টা করতেই ম্যানেজারের মোবাইলে অ্যালার্ম চলে যায়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে দেন বিষ্ণুপুর থানায়। থানা থেকে খবর যায় টহলরত পুলিশভ্যানে। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ চলে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করতেই তারা প্রথমে দোতলা থেকে থান ইট ছুড়তে থাকে। এর পরেই তারা বাজারের পিছনের দরজা দিয়ে পালাতে থাকে। তখনই এক দুষ্কৃতী পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। |