মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন জেলায়। তাই সাজো সাজো রব নদিয়া-মুর্শিাদাবাদ দুই জেলাতেই। আর মুখ্যমন্ত্রীর দুই জেলা সফরকে ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে চরম প্রশাসনিক তৎপরতা।
মঙ্গলবার প্রথমে নদিয়ায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন দুপুরে তিনি পলাশির পানিঘাটা উমাদাস মেমোরিয়াল হাইস্কুলের মাঠে জনসভা করবেন। সেখানে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন। তারপর তিনি চলে যাবেন পাশের জেলা মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে। সেখানে ওই জেলার প্রশাসনিক বৈঠক সেরে রাতে ফিরে আসবেন নদিয়াতেই। রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জেলা প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই মতো বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যকে সাজানোও হয়েছে। আর তাই মঙ্গল ও বুধ-এই দু’দিন সাধারণ পযর্র্টকদের ওই অভয়ারণ্যে প্রবেশ বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর রাত্রিবাসের জন্য কৃষ্ণনগরের সার্কিট হাউসও তৈরি রাখা হয়েছে। পরদিন অর্থাৎ বুধবার সার্কিট হাউসে বেলা ১২টা থেকে নদিয়ার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে কলকাতায় ফিরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটা নাগাদ কৃষ্ণনগর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের মাঠে নামবে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। সেখান থেকে গাড়িতে করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে তিনি যাবেন পানিঘাটা উমাদাস মেমোরিয়াল হাই স্কুলের মাঠে। সেখানে ৫০ লক্ষরও বেশি টাকার একশো’টি প্রকল্পের শিলান্যাস ও ৪১টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন নদিয়ার জেলাশাসক পি বি সালিম। এছাড়া জেলার পাঁচ জন চাষিকে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ‘কৃষক সম্মান” প্রদান করবেন তিনি। ১০০টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ১২টি সংখ্যালঘু হস্টেল, তেহট্টে মহকুমা হাসপাতালে এসএনসিইউ, চাপড়া, তেহট্ট, কালীগঞ্জ, নাকাশিপাড়ায় জেনারেল ডিগ্রি কলেজ, ফুলিয়ার রফতানি মার্ট, কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে কারু ও হস্তশিল্প সংগ্রহশালা, নবদ্বীপ-স্বরূপগঞ্জ ও মায়াপুর ঘাটের সৌন্দার্যায়ন-এমনই নানা কিছু।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের তকিপুর হাই মাদ্রাসায় মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করবেন। ৪ লক্ষ টাকা খরচ করে ওই হাই মাদ্রাসাটি নীল-সাদা রঙে রাঙানো হয়েছে। মাদ্রাসার মাঠ অসমান থাকায় তা সমতল করতে সেখানে আরও কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে কাঠের পাটাতন বসানো হয়েছে।
এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ায় তিন বার প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসছেন। এর আগে ২০১২ সালে দু’বার প্রশাসনিক বৈঠক করে গিয়েছেন। সেবার যেমন বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করার বিষয়ে বিভিন্ন আধিকারিকদের ‘ধমক’ ও দিয়েছিলেন। তেমনই ভাল কাজের জন্য প্রশংসাও করেছিলেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর এই তৃতীয় বারের প্রশাসনিক বৈঠকের আগে চাপে প্রশাসন। যদিও জেলাশাসক পি বি সালিম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের জন্য আমরা তৈরি।” |