|
|
|
|
গ্রাম সংসদ সভায় কংগ্রেস-তৃণমূল হাতাহাতি সবংয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
গ্রাম সংসদ সভাকে ঘিরে কংগ্রেস-তৃণমূলের হাতাহাতি বাধল সবংয়ে। রবিবার বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুরারিচক গ্রামে ওই ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় কংগ্রেস বুথ সভাপতির বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে। তৃণমূল পাল্টা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের মারধরের অভিযোগ করে। কংগ্রেস ও তৃণমূল উভয় পক্ষই সবং থানায় ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে তৃণমূল শাসনাধীন বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতের মুরারিচকে গ্রাম সংসদের সভা বসে। সভায় কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যা সবিতা বর্মন তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন। সবিতাদেবী মুরারীচক গ্রাম থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্যা। সেই সময় সভায় উপস্থিত কংগ্রেস ও তৃণমূল সদস্যদের মধ্যে বচসা বাধে। তার জেরেই উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগও ওঠে। ওই ঘটনায় চার জন তৃণমূল কর্মী জখম হন। যদিও ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অমল পণ্ডা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন রাতে এলাকায় তৃণমূল মিছিল বের করে। অভিযোগ, সেই সময় কংগ্রেস বুথ সভাপতি হরিপদ ধাড়া ও তাঁর ভাই রাধানাথ ধাড়ার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল কর্মীরা। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল নেতা প্রতাপ বর্মন, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গুরুপদ মান্না ও পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা হিমাংশু সাউয়ের নেতৃত্বে ওই ভাঙচুর ও লুঠপাট চলেছে। স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া বলেন, “আমরা বদলা নয়, বদল চাই স্লোগানে এই সরকারকে এনেছিলাম। কিন্তু সেই সিপিএমের আমলের বদলা আজও অব্যাহত। এই হরিপদ ধাড়ার বাবা মহেশ্বর ধাড়াকে ১৯৮২ সালে সিপিএম বেধড়ক মারধর করেছিল। তাঁরা বাড়ির মায়েদের গণধর্ষণও করে। এই আমলেও সেই তাঁদের বাড়িতেই আবার হামলা ও লুঠপাট চলল, এটা আমরা কি দেখছি? এর বিচার চাই।” যদিও ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির দাবি, ওই সংসদ সভায় কংগ্রেস কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের চার কর্মীকে মেরে রক্ত বার করে দেয়। তার প্রতিবাদে এলাকায় একটি মিছিল হয়েছিল। কিন্তু কার বাড়ি কে ভেঙেছে তা আমার জানা নেই।” |
|
|
|
|
|