বাড়ছে ভিড়, শীতে জমজমাট কাশ্মীর

১৬ ডিসেম্বর
মাঝ ডিসেম্বর। তাপমাত্রার পারদ হু হু করে নামছে। কিন্তু ভূস্বর্গে একটা জিনিস এখন উর্ধ্বমুখী। আর সেটা হল পর্যটকের সংখ্যা।
সামনেই বড়দিন। আসছে নতুন বছরও। চারদিকে এখন উৎসবের মেজাজ। এই সময়টা উপভোগ করতে তাই এ বার কাশ্মীর পাড়ি জমাচ্ছেন অনেকেই। আগাম হোটেল বুকিংও চলছে জোরকদমে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০ বছরে শীতের মরসুমে এত পর্যটক সমাগম দেখেনি কাশ্মীর। তাই পর্যটকদের এই হিড়িক দেখে খানিকটা অবাকই হচ্ছেন এখানকার হোটেল ব্যবসায়ীরা।
‘কাশ্মীর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর এক কর্তা জানালেন, গুলমার্গে এখন থেকেই প্রায় ৬০ শতাংশ হোটেল বুক হয়ে গিয়েছে। পহেলগামে ভিড়টা আরও বেশি। সেখানে ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ হোটেল বুকড। তবে শ্রীনগরের ছবিটা একটু অন্য রকম। সেখানে আপাতত ৫০ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়েছে বলে জানালেন ওই কর্তা। যদিও হাউসবোট মালিকেরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বার তাঁদের বুকিং বেশ ভালই হয়েছে।
তবে এই সব কিছুর জন্য কিন্তু পর্যটন দফতরকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন হোটেল কর্তারা। তাঁদের মতে, সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় রোড শো আর প্রচারমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করাটা একেবারেই বিফলে যায়নি। মাথায় রাখা হয়েছে বিদেশি পর্যটকদের কথাও। এবং প্রায় অনেকেই মেনে নিচ্ছেন যে, পর্যটন দফতরের এই প্রয়াসের ফলেই মূলত ঘুরে দাঁড়াতে পারছে মুখ থুবড়ে পড়া কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প।
‘হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর আর এক কর্তা জানালেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এ বার উপত্যকার বিভিন্ন হোটেলে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থাও। গালা ডিনার থেকে শুরু করে ডিজে নাইটস। বিনোদনের সব মশলাই মজুত রাখা হবে পর্যটকদের জন্য। কোনও কোনও হোটেল আবার পর্যটক টানতে বুকিংয়ের উপর ডিসকাউন্টের ব্যবস্থাও করেছে।
আর এই সুযোগে আশায় আশায় রয়েছেন উপত্যকার দোকান মালিকেরাও। পর্যটক মানেই যেমন হোটেল, রিসর্ট আর হাউসবোটে বুকিং। তেমনই পর্যটক মানে কেনাকাটাও। এ বার বড়দিন আর বর্ষবরণের ভিড়টাকে তাই কাজে লাগাতে চাইছেন দোকানিরাও। তাঁদের আশা, এ বছরটা তাঁরা লাভের মুখ দেখেই শেষ করবেন।
এত আয়োজনের মধ্যে মাত্র একটি বিষয় নিয়েই একটু চিন্তিত হোটেল মালিকেরা। আর সেটা হল লোডশেডিংয়ের সমস্যা। ঘনঘন বিদ্যুৎ যায় কাশ্মীরে। ইদানীং পরিমাণটা আরও বেড়েছে। হোটেল মালিকদের আশঙ্কা, বিদ্যুৎ না থাকলে বড়দিন আর বর্ষবরণের হুল্লোড়ের সময় সমস্যায় পড়তে পারেন পর্যটকেরা। এক হোটেল মালিক শোনালেন অন্য এক সমস্যার কথাও। তিনি বললেন, “বিদ্যুৎ না থাকলে হোটেলের ঘরে ঘরে চলবে না রুম হিটার। এত শীতে এখানে আসতে গেলে তাই পর্যটকরা দু’বার ভাববেন তো বটেই।” সে ক্ষেত্রে বুকিং বাতিল হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি। তবে পর্যটন দফতরের ডিরেক্টর তালাত পারভেজ আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “পর্যটকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে দিকটা দেখছে সরকার। বিদ্যুৎ দফতরও জানিয়েছে, সমস্যা দ্রুত মেটানোর চেষ্টা চলছে।”
হাড় হিম করা শীত উপেক্ষা করে তাই এ বার পর্যটকদের জন্য সাজছে উপত্যকা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.