নবাটহাটে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন করে খুনের ঘটনার তদন্তে নামল সিআইডি। সম্প্রতি টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীকে ধর্ষন করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘন্টা পরে স্থানীয় ডিভিসির সেচখালের পাড় থেকে ওই ছাত্রীর তার নগ্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। দফায় দফায় সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আরেক অভিযুক্ত বাদশা শেখ আদালতে আত্মসমর্পণ করে। পরে তাকেও নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে শনিবার রাজ্য সিআইডি ওই মামলার তদন্তভার নেয়। রবিবার পুলিশি হেফাজতে থাকা বাদশা শেখকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ঘটনাস্থলেও যায় তারা।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন বাদশাকে সঙ্গে নিয়ে তদন্তকারী দলটি নবাটহাট দিঘির পাড় এলাকায় যায়। যেখান থেকে ছাত্রীটির সাইকেল, পোষাক এবং দেহ মিলেছিল। সেখানে বাদশাকে জেরা করা হয়। পরে তাকে ওই নির্মীয়মাণ নার্সিংহোমেও নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বালিশ, বিছানা ইত্যাদি নমুনা আটক করে সিআইডি। তবে ওই বালিশ, বিছানা কী কাজে লেগেছিল তদন্তের স্বার্থে তার উত্তর দিতে চায়নি সিআইডি-র তদন্তকারী দলের নেতা সাব ইন্সপেক্টর অরূপ সেন। এলাকার বেশ কিছু লোককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। সোমবার সকালে বর্ধমান থানার লকআপ থেকে সিআইডির বর্ধমান শাখায় নিয়ে গিয়ে ফের দিনভর দেরা করা হয় বাদশাকে।
বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ওই ঘটনায় ৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে সাতজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। একজন, বাদশা শেখ আত্মসমর্পণ করেছে। তবে আরেক অভিযুক্ত আজিম শেখ এখনও পলাতক। আমরা তার নামে হুলিয়া জারি ও তার স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিজ্ঞপ্তি জারির জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছি।”
|