ইটাহারের ডক্টর মেঘনাদ সাহা কলেজে নিগ্রহ কান্ডে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম পালকে আড়াল করতেই অধ্যক্ষা স্বপ্না মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ শিক্ষাকর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক মৃণাল দাস। রবিবার জেলায় ওই ইউনিয়নের রাজ্য কাউন্সিলের সভা ছিল। মৃণালবাবু বলেন, “স্ত্রীকে টোকাটুকি করতে বাধা দেওয়ায় গৌতমবাবু অনুগামীদের নিয়ে মেঘনাদ সাহা কলেজের অধ্যক্ষা স্বপ্নাদেবী সহ তিন শিক্ষক শিক্ষিকা ও এক শিক্ষাকর্মীকে নিগ্রহ করেন। এখন গৌতমবাবুকে আড়াল করে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে স্বপ্নাদেবীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে স্বপ্নাদেবী নির্দোষ প্রমাণিত হবেন”
সম্প্রতি, গৌতমবাবুকে মেঘনাদ সাহা কলেজের পরিচালন সমিতিতে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নিগ্রহকান্ডে অভিযুক্ত গৌতমবাবুর পরিচালন সমিতিতে মনোনীত হওয়া নিয়ে গত ৯ ডিসেম্বর এসইউসি বিধায়ক তরুণ নস্কর বিধানসভায় প্রশ্ন তুললে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্বপ্নাদেবীর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ তোলেন।
পরিচালন সমিতি বা প্রশাসক বসিয়ে স্বপ্নাদেবীর বিরুদ্ধে তদন্ত করার কথাও জানান শিক্ষামন্ত্রী। গত বুধবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ওই কলেজে তদন্তে যায়। এরপরেই গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গৌতমবাবুর মনোনয়ন বাতিল করে কলেজে প্রশাসক বসানোর কথা ঘোষণা করেন।
মৃণালবাবু বলেন, “চাপে পড়ে গৌতমবাবুর মনোনয়ন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখন প্রশাসক বসিয়ে স্বপ্নাদেবীর বিরুদ্ধে লোকদেখানো তদন্ত করে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।”
যদিও গৌতমবাবুর দাবি, “আমি কোনও শিক্ষক, শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মীকে নিগ্রহ করিনি। আমি স্বপ্নাদেবী ও তাঁর স্বামী সিপিআই নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। তবে স্বপ্নাদেবী-সহ তিন শিক্ষক শিক্ষিকা ও ওই শিক্ষাকর্মীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে আমরাও আন্দোলনে নামব।”
স্বপ্নাদেবী বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়েছে।” জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য অভিযোগ, “কলেজের অধ্যক্ষার চেয়ারে বসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বদনাম রটাতে গৌতমবাবুকে ফাঁসানো হয়েছে।” |