শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের নিগ্রহ রুখতে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় যৌথমঞ্চ তৈরি করে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ কলেজ শিক্ষাকর্মী ইউনিয়ন। রবিবার রায়গঞ্জের ছন্দম মঞ্চে ইউনিয়নের রাজ্য কাউন্সিলের সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কলেজের ১৭০ জন শিক্ষাকর্মী হাজির হয়েছিলেন। ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক মৃণাল দাস বলেন, “২০০৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কলেজে ও কলেজের বাইরে প্রায় ১০০ জন শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী নিগৃহীত হয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনৈতিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে শাসকদল তৃণমূলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের হাতে তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন”
তিনি জানান, এর অন্যতম উদাহরণ রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজ ও ইটাহারের ডক্টর মেঘনাদ সাহা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, অধ্যক্ষা সহ শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের নিগ্রহ হওয়ার ঘটনা। এবার রাজ্যের প্রতিটি জেলার বিভিন্ন কলেজের বামপন্থী মনোভাবাপন্ন শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও পড়ুয়াদের একাংশকে নিয়ে যৌথমঞ্চ গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যৌথমঞ্চের সদস্যরা নিজেদের কলেজে নৈরাজ্য ও নিগ্রহ রুখতে সারাবছর ধরে অবস্থান বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সভা ও মিছিল করবেন। চোখের সামনে নিগ্রহের চেষ্টা হলে মঞ্চের সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করে তা ঠেকানোর চেষ্টা করবেন। তাতেও কাজ না হলে পুলিশে খবর দেওয়া হবে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কলেজে শিক্ষাকর্মীদের শূণ্যপদ পূরণ করার দাবিতে এদিন রাজ্য কাউন্সিলের সভায় ইউনিয়নের তরফে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের কটাক্ষ, “সিপিএমের শিক্ষাকর্মীরা কলেজে কলেজে নিজেদের কর্তব্য ভুলে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছেন। তৃণমূলের নামে অপপ্রচারের চেষ্টা করলেও তাঁরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সিপিএমের কোনও সুবিধা করতে পারবেন না।” |