নতুন বছরে সাজবে কোচবিহার ভবন
তুন বছরে কলকাতার সল্টলেকে ‘কোচবিহার ভবনকে’ নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই ভবনের পরিকাঠামো উন্নয়নে ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর প্রায় ৮৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। তার জেরেই ভবনটির পরিকাঠামো উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়নের ব্যাপারে প্রাথমিক রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি ডিসেম্বর মাসেই ওই কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা হবে। আগামী বছরের ছয়-সাত মাসের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের বরাদ্দ টাকা হাতে এসেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। মাস সাতেকের মধ্যে ভবনটিকে নতুন চেহারায় তুলে ধরা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”
জেলা প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, সল্টলেকে মূলত নানা কাজে যাওয়া কোচবিহারের বাসিন্দাদের জন্য ওই ভবন তৈরি করা হয়। বর্তমানে ত্রিতল ওই ভবনে শয্যা সংখ্যা রয়েছে ৫০টি। দ্বিশয্যার বাতানুকূল ঘরের জন্য দৈনিক ৫০০ টাকা, দ্বি-শয্যার সাধারণ ঘরের জন্য দৈনিক ২০০ টাকা ও ডরমিটরিতে মাথাপিছু ৫০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়।
কিন্তু শয্যাসংখ্যার অপ্রতুলতার জন্য আগ্রহীদের অনেকেই সেখানে নির্দিষ্ট দিনে বুকিং পাননা। সমস্যা মেটাতে কোচবিহার ভবনের চতুর্থ তলা তৈরি করে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বাতানুকূল ঘরের সংখ্যা বাড়ানো-সহ বেশ কিছু সংস্কার কাজের ব্যাপারে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কাছে বরাদ্দ চেয়ে পাঠান জেলা প্রশাসনের কর্তারা। জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারদের তদারকিতে পুরো কাজ হবে। জেলাশাসক বলেন, “প্রাথমিকভাবে অন্তত ২৫টি শয্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বাড়ানো হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের সংখ্যাও।” জেলা প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, আর্থিক আয়-ব্যয়ের নিরিখেও সল্টলেকের কোচবিহার ভবনটি লাভজনক মাত্র দু’জন স্থায়ী ও কয়েকজন অস্থায়ী কর্মী ভবনটির দেখভাল করেন। বিদ্যুৎ, টেলিফোন ও দৈনন্দিন সাফাই খরচ মিলিয়ে বছরে গড়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়। সেখানে ফি বছর ভাড়া বাবদ আয় হয় প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। শয্যাসংখ্যা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের সংখ্যা বাড়লে ওই আয় বাড়ার সুযোগ তৈরি হবে। কোচবিহার জেলা পরিকল্পনা আধিকারিক অশ্বিনী রায় বলেন, “হুবহু তিন তলার নকশার ধাঁচেই প্রস্তাবিত চতুর্থ তলের নির্মাণ কাজ হবে। প্রসঙ্গত, জেলার বাসিন্দারা কোচবিহার জেলাশাসকের দফতরের মাধ্যমে সল্টলেকের ওই ভবনে থাকার বুকিং করার সুযোগ পান।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.