জলপাইগুড়ি জেলার ছোট চা বাগান এবং কারখানা ঘুরে দেখলেন দিল্লির মোজাম্বিক হাই কমিশনের দুই প্রতিনিধি। রবিবার হাই কমিশনের প্রথম সচিব অগাস্টো এন্টনিয় জেনেরোসো এবং কাউন্সিলর কমার্শিয়াল ভিসেন্টে পাওলো সি চিহালে বেরুবাড়ি এবং পানবাড়ি এলাকার চা বাগানগুলি ঘুরে দেখেন। মোজাম্বিক সরকার সে দেশে চা শিল্পে উন্নতির জন্যে ভারতের সহযোগিতা চায় বলে কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে। গত অগস্ট মাসে সে দেশের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। এর পরেই ভারতীয় চা পর্ষদ ক্ষুদ্র চা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গত মাসে দিল্লিতে সিস্টা-র (কনফেডারেশন অব স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোশিয়েশন) সর্বভারতীয় সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ক্ষুদ্র চা চাষিদের এক প্রতিনিধি দল মোজাম্বিক সরকারের হাইকমিশনারের আমন্ত্রণে দিল্লিতে যায়। সে সময়ে তাঁদের জলপাইগুড়িতে আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে সিস্টা-র তরফে জানানো হয়েছে। |
মোজাম্বিক হাই কমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সিলার ভিসেন্টে বলেন, “আমাদের দেশে চা বাগান আছে। কিন্তু আমরা চা শিল্পে সেভাবে কোনও উন্নতি করতে পারছি না। ভারতের মত আমাদের গ্রাম এলাকার বাসিন্দাদের আর্থিক উন্নতির জন্যে ছোট চা বাগান গড়ে তুলতে চাই। সে কারণেই এই পরিদর্শন।” হাই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সে দেশের প্রায় ৩৯ হাজার হেক্টর চা বাগানের অধিকাংশই বর্তমানে নষ্ট হওয়ার পথে। প্রযুক্তির ব্যবহার না করাতেই সে দেশের চা শিল্প সঙ্কটে পড়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
ভিসেন্টে বলেন, “আমাদের দেশে প্রচুর জমি রয়েছে, বৃষ্টিপাতও ভাল হয়। চা উৎপাদনের এই অনুকুল পরিবেশকে আমরা কাজে লাগাতে চাই।” রবিবার বেরুবাড়ির নবজাগরণ চা চাষি সমিতির চা-এর কারখানা তাঁরা ঘুরে দেখেছেন। হাই কমিশনের প্রথম সচিব অগাস্টো এন্টনিও জেনেরোসো বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মোজাম্বিক থেকে ৭ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল আসবে তারা চা শিল্পের উন্নতির সব প্রয়োজনীয় শর্ত খতিয়ে দেখবে।” সিস্টা-র সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “মোজাম্বিকের চা শিল্পের উন্নতির জন্যে আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত। যেভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করে আমরা সফলতা পেয়েছি, তা ওঁদের বোঝানো হবে। নাগরাকাটার চা গবেষণা কেন্দ্রেও ওঁরা যাবেন।” |