সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে পেতে বিজেপির পরে এ বার ময়দানে নেমে পড়ল কংগ্রেসও। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিজেপি-র প্রার্থী হবেন কি হবেন না, তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই রবিবার দুপুরে বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য।
সৌরভের সঙ্গে তাঁর এই সাক্ষাৎকে অবশ্য সৌজন্যমূলক বলেই দাবি করেছেন প্রদীপবাবু। সৌরভ তাঁর পূর্ব পরিচিত জানিয়ে প্রদীপবাবুর মন্তব্য, “এর আগে চার-পাঁচ বার নানা সময়ে সৌরভের বাড়িতে গিয়েছি। মাসখানেক আগেও গিয়েছিলাম। ওঁর সঙ্গে দেখা করা বিশেষ অর্থ বহন করে না।” যদিও কংগ্রেসেরই একটি সূত্রের খবর, এ দিন প্রদীপবাবুর তরফে সৌরভকে কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে বিজেপির মতোই কংগ্রেসকেও সৌরভ এ ব্যাপারে তাঁর মতামত এখনও জানাননি বলে ওই সূত্রটির দাবি।
প্রার্থী হওয়ার জন্য সৌরভকে বিজেপি-র আমন্ত্রণ জানানোর পরে প্রদীপবাবুর এই সাক্ষাৎ ঘিরে রাজনৈতিক শিবিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে। প্রদীপবাবুর অবশ্য দাবি, বিজেপি-র ব্যাপারে সৌরভের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়নি। তবে সৌরভ যাতে বিজেপিতে না যান, এ দিন প্রদীপবাবু প্রকারান্তরে তেমনই অনুরোধ করেছেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। কয়েক দিন ধরেই সৌরভের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছিলেন প্রদীপবাবু। সৌরভও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, শনিবারই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে ফোন করেছিলেন প্রদীপবাবু। কিন্তু সৌরভ মুম্বইয়ে থাকায় দেখা হয়নি। এ দিন বাড়ি ফিরে বেলা দেড়টা নাগাদ দেখা করার সময় দেন সৌরভ। পরে প্রদীপবাবু বলেন, “ওঁর বিজেপিতে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে কি না, তা নিয়ে কোনও কথাই হয়নি।”
বিজেপি নিয়ে কথা না হলেও আগামী দিনে সৌরভকে কংগ্রেসে আনার কোনও পরিকল্পনা কি রয়েছে? প্রদীপবাবুর জবাব, “খেলার মাঠেই সৌরভ থাকতে চান বলে ওঁর সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি।” সৌরভকে কংগ্রেসের অরাজনৈতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান প্রদীপবাবু। তিনি বলেন, “রক্তদান শিবির বা অন্য কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে সৌরভকে ডাকা হলে উনি আসবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।” যদিও এর আগে কংগ্রেসের কোনও অনুষ্ঠানে এমনকী কোনও অরাজনৈতিক মঞ্চেও প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ককে দেখা যায়নি।
সৌরভের সঙ্গে প্রদীপবাবুর এই সাক্ষাতের সমালোচনা করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি-র সম্পাদক রীতেশ তিওয়ারি বলেন, “অন্য দল এক জন বিখ্যাত ব্যক্তিকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে এবং তিনি তাদের হ্যাঁ বা না কিছুই বলেননি। এই অবস্থায় কংগ্রেস নেতা ওই ব্যক্তির কাছে চলে গেলেন! আসলে কংগ্রেস রাজনৈতিক সৌজন্য হারিয়েছে!” |
চাকরি চক্র দীর্ঘদিনের, জেরায় জানাল ধৃতেরা |
এক-আধ দিন নয়। কয়েক বছর ধরেই উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ায় জাঁকিয়ে বসেছিল চাকরি চক্র। শনিবার গ্রেফতারের পরে জেরার মুখে চক্রের দুই চাঁই সুখেন সাহা ও সৌমেন মাঝি এ কথা কবুল করেছে বলে জানান গোয়েন্দারা। রাজ্য আবগারি দফতরে ১ ডিসেম্বরের একটি পরীক্ষায় ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের সূত্র ধরে তদন্তে নামে সিআইডি। পুলিশি সূত্রের খবর, ব্যারাকপুরে সুখেনের ভাড়া বাড়িতে চাকরির পরীক্ষার কয়েকটি অ্যাডমিট কার্ড-সহ কিছু কাগজপত্র এবং মোবাইলের সিমকার্ড পাওয়া গিয়েছে। ওই বাড়ির মালিক তীর্থতপন বসু বলেন, “চাল ব্যবসায়ী এবং রানাঘাটের বাসিন্দা বলে নিজের পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়া নেয় সুখেন। কিন্তু ২ ডিসেম্বর সে বেপাত্তা হয়ে যায়।” পুলিশ সুখেনের ভাড়া নেওয়া দু’টি ঘর সিল করে দিয়েছে। |