দেরিতে এসেও জোর করে স্টাফ সিলেকশন কমিশনের (এসএসসি) পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা এবং পরীক্ষা ভণ্ডুলের চেষ্টার অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থী ও এক অভিভাবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার আরামবাগের নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের ঘটনা। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের হটায়। পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশের দাবি, লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীদের হটিয়ে দেওয়া হয়। |
পুলিশের তাড়া। ছবি: মোহন দাস। |
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ১২টা থেকে দু’দফায় ওই পরীক্ষা হয়। গোলমাল এড়াতে পরীক্ষাকেন্দ্রের ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই কেন্দ্রে মোট পরীক্ষা দিতে আসার কথা ছিল ১০৫৬ জনের। নির্দিষ্ট সময়মতো পরীক্ষা শুরু হওয়া মাত্র কলেজের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু জনা ৪০ পরীক্ষার্থী তার কিছু ক্ষণ পরে গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। তাঁরা পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবি তোলেন। তাঁদের অভিভাবকেরাও তাতে সামিল হন। এ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের বচসাও বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডাকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশ কয়েক জন বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীকে লাঠিপেটা করে। ৩ জনকে ধরা হয়।
ওই কলেজের অধ্যক্ষ অসীম দে বলেন, “নিয়ম হল, পরীক্ষার ৪৫ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে এসে রিপোর্ট করতে হবে। ১২টায় পরীক্ষা শুরুর পরে কেউ এলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। কিছু পরীক্ষার্থী সওয়া ১২টা নাগাদ এসে পরীক্ষা দিতে চাইলে তা সম্ভব নয় জানিয়ে আমরা তাঁদের ফিরে যেতে অনুরোধ করি। কিন্তু তাঁরা গেটের তালা ভেঙে ঢুকে কলেজে ঝামেলা শুরু করায় পুলিশ ডাকতে হয়।”
পরীক্ষা না দিতে পারা পরীক্ষার্থীদের অনেকের বক্তব্য, বেহাল রাস্তা ও পথে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আসতে তাঁদের দেরি হয়। তাঁদের মধ্যে ব্যান্ডেলের রাজা ভক্তের অভিযোগ, “আমাদের দেরির কারণ জানিয়ে বহু অনুরোধ করি পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার জন্য। শুনলাম পাশের কিছু কেন্দ্রে ১২টা ২০ মিনিটে পৌঁছেও পরীক্ষায় বসার সুযোগ মিলেছে। কিন্তু পুলিশ আমাদের লাঠিপেটা করল।” শ্রীরামপুর থেকে আসা একা চক্রবর্তী নামে এক পরীক্ষার্থীর ক্ষোভ, “পরীক্ষার জন্য বাড়ির কাছাকাছি কোথাও কেন কেন্দ্র করা হল না? আমাদের অনেককেই সন্তান-সংসার সামলে আসতে হয়েছে। চাকরিটাও দরকার। কিন্তু পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেলাম না।” |