|
|
|
|
রাঁচির ঝিলে নৌকা উল্টে মৃত তিন
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
সরকারি উদ্যোগে নৌকাবিহারের উদ্বোধনের দিনই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক শিশু-সহ তিন জনের। জখম হয়ে রাঁচির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২-১৩ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের পর্যটন সচিবও।
আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ রাঁচির বড়া তালাও-এ (ঝিল) দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের পরিজনদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক গাফিলতিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
তাঁরা জানিয়েছেন, পর্যটন সচিব সজল চক্রবর্তীর সঙ্গে একটি মোটরবোটে উঠে পড়েছিলেন ১৬-১৭ জন। জেটি থেকে কয়েক মিটার এগিয়ে বাঁক নিতে গিয়ে সেটি উল্টে যায়। জলে পড়ে যান সব সওয়ারি। তাঁদের আর্ত চিৎকারে ঝিলের ধারে দাঁড়ানো ভিড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জলে ঝাঁপিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। |
|
দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই মোটরবোট। রাঁচির বড়া তালাওয়ে। —নিজস্ব চিত্র। |
অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর প্রশাসনের তরফে বিপর্যয় মোকাবিলার কোনও কর্মীকে দেখা যায়নি। কিছু ক্ষণ পর সরকারি লোকজন জাল নিয়ে জলে নামেন। তখনই এক শিশু-সহ তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মান্নান (৩৫), সাগরময় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সানা মুখোপাধ্যায় (৩)। সকলে রাঁচিরই বাসিন্দা।
অভিযোগ উঠেছে, নৌকা-সওয়ারিদের জন্য ‘লাইফ-জ্যাকেট’-এর ব্যবস্থা ছিল না। ওই মোটরবোটে বহনক্ষমতার বেশি লোক উঠে পড়লেও, সে দিকে নজর দেননি নৌকাবিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কর্মীরা। দুর্ঘটনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছে বিরোধী বিজেপি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা অভিযোগ তুলেছেন, সরকারের গাফিলতিতেই হতাহতের ঘটনা ঘটল।
আজ সন্ধ্যায় পর্যটন সচিব বলেন, “নৌকার ২-৩ সওয়ারি লাইফ-জ্যাকেট পড়েছিলেন। একটি পরিবারের অনেকে নৌকায় ছিলেন। সবাইকে লাইফ-জ্যাকেট পড়ানো না-হলে নৌকায় উঠব না—আমি এ কথা জোর দিয়ে বললে হয়তো তিনজনের মৃত্যু এড়ানো যেত।”
তিন বছর পর ওই ঝিলে ফের নৌকাবিহার শুরুর উদ্যোগ নিয়েছিল রাঁচি নগর নিগম। একটি বেসরকারি সংস্থাকে তা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। |
|
|
|
|
|