দীর্ঘদিনের জল জমার সমস্যা
থেকে মুক্ত হতে চলেছে বিমানবন্দর ও লাগোয়া এলাকা।
বেহাল নিকাশির জন্য বর্ষায় জল জমত বিমানবন্দরের খালি জমিতে। রানওয়েতেও জল জমার ঘটনা ঘটেছে। সমস্যা হয় বিমান ওঠা-নামার। জল জমে যায় সংলগ্ন রাস্তাঘাটেও। দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধানে এয়ারপোর্ট এলাকায় নতুন করে নিকাশি তৈরির কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য। কেএমডিএ সূত্রে খবর, কাজটি কেএমডিএ ও সেচ দফতর যৌথ উদ্যোগে করবে। কাজটি করা হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তত্ত্বাবধানে।
কেএমডিএ-এর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি দেবাশিস সেন বলেন, “বেশ কয়েক মাস ধরে সমীক্ষার কাজ চলছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তত্ত্বাবধানে। কেএমডিএ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, সেচ দফতর ও রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে বৈঠকে নিকাশির কাজ দ্রুত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” কেএমডিএ সূত্রে খবর, টেন্ডারের কাজ শেষ হলেই মাস খানেকের মধ্যে নিকাশি নির্মাণের কাজ শুরু হবে। বিমানবন্দরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক পদস্থ কর্তা গৌতম বিশ্বাস বলেন, “এয়ারপোর্টের বাইরের নিকাশির হাল খারাপ থাকায় অতিবৃষ্টিতে জল জমে যেত এয়ারপোর্টের ভিতরে। জল ভেতর থেকে দ্রুত বেরোতে না পারায় জল জমে যায়। নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজালে এই সমস্যা মিটবে।” কেএমডিএ সূত্রে খবর, নিকাশি নালা এয়ারপোর্ট থেকে শুরু হয়ে একটি যাবে উত্তরমুখী, অন্যটি যাবে দক্ষিণমুখী। দক্ষিণমুখী নিকাশি ভিআইপি রোডের কাছে মাটির তলা দিয়ে যাবে। ওই নিকাশি কেষ্টপুরে বাগজোলা খালে গিয়ে মিশবে। উত্তরমুখী নিকাশিটি মধ্যমগ্রাম এলাকার নোয়াই খালে মিশবে। দেবাশিসবাবু জানান, ৬১ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ২৫ কোটি টাকা কেএমডিএ দিচ্ছে। বাকি টাকা দিচ্ছে সেচ দফতর।
এমনিতেই এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় ভিআইপি রোডে উড়ালপুলের কাজের জন্য নিকাশির হাল কিছুটা খারাপ। উন্নয়নের কাজের জন্য নয়ানজুলির কিছুটা অংশ বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মনোদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই নিকাশি নালার কাজ সম্পূর্ণ হলে শুধু এয়ারপোর্টের ভেতরেই নয়, এয়ারপোর্ট সংলগ্ন পুরো এলাকার ছবিটাই পাল্টে যাবে। এখন এয়ারপোর্ট এলাকার জমা জল বেরোতে না পারায় নিউ টাউনের চিনারপার্ক, কৈখালিও প্লাবিত হয়ে যায়। এয়ারপোর্ট অভিমুখী গাড়ি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়।” কেএমডিএ সূত্রে খবর, দু’ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। আগামী বর্ষায় বিমানবন্দর এলাকায় যেন জল না জমে সে জন্য কাজ চলাকালীনই বিকল্প নিকাশি ব্যবস্থাও করা হবে। |