উপ সংশোধনাগার থেকে এক অভিযুক্ত পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন জেল পুলিশ কর্মীকে ‘শো-কজ’ করল কাটোয়া উপ-সংশোধনাগারের সুপার ও মহকুমাশাসক আর অর্জুন। রবিবার কাটোয়া উপ-সংশোধনাগারের ওই তিন ওয়ার্ডেনের হাতে শো-কজের চিঠি তুলে দেয় জেল কর্তৃপক্ষ। আর অর্জুন বলেন, “তিন দিনের মধ্যে ওই তিন কর্মীকে শো কজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।”
শনিবার দুপুরে কাটোয়া উপ-সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালায় আদর আলি শেখ। রাতেই আদরের বাড়ি কাটোয়ার হরিপুর গ্রামের কাছে রাস্তা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। রবিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। কাটোয়া থানার পুলিশের কাছে জেরায় সে জানিয়েছে, তিন দিন জেলে থেকে সে হাঁফিয়ে উঠেছিল। ওই সংশোধনাগারে থাকা দাগি দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সে আর থাকতে পারছিল না। কাটোয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, কিছুদিন আগে নিজের পরিচয় গোপন রেখে কাটোয়ার এক নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালিয়েছিল আদর। বুধবার তাঁকে নবদ্বীপ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সেখান থেকেই ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে শৌচাগার যাওয়ার সময় আদর পুলিশ কর্মীদের অমনোযোগী থাকার সুযোগে সে বাইরে চলে আসে। সংশোধনাগারের চত্ত্বর তখন ফাঁকা। সেই সুযোগে বাঁশের ভাড়া দিয়ে সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে সে পালায়। জেল পুলিশের একাংশের অভিযোগ, ওই সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন পুলিশ কর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিল, সেই সুযোগই নিয়েছে পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই অভিযুক্ত। এর আগে, এই সংশোধনাগারের মদ্যপ অবস্থায় ‘ডিউটি’ করার জন্য চার জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছিল রাজ্য কারা দফতর। সম্প্রতি একই কারণে দু’জন কর্মীকে শো কজ করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে কাটোয়া উপ সংশোধনাগারের সুপার আর অর্জুন বলেন, “ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।” বছর খানেক আগে এই সংশোধনাগার থেকে ঠিক এ ভাবেও বাঁশের ভাড়া ও পাইপ দিয়ে বাংলাদেশের এক অনুপ্রবেশকারী পালিয়ে গিয়েছিল। তারপরও এই ঘটনায় কাটোয়া সংশোধনাগারে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। |