গড়িয়াহাটের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এ বার ব্যারাকপুরে!
শনিবার ব্যারাকপুরের লাটবাগানে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপ্তি অনুষ্ঠান ছিল। গিয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। তাই যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার তদারকি সেরে অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন ট্র্যাফিক বিভাগের ওসি কল্যাণ চক্রবর্তী। কিন্তু মাঝপথে এক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর গাড়ির চালকের উপর চড়াও হন এক মহিলা। গড়িয়াহাটের মতো এখানেও মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন না। তাঁকে নিরস্ত করতে আশপাশের মহিলাদের সাহায্য নেওয়া হয়। তাঁকে আটক করে তুলে দেওয়া হয় টিটাগড় থানার পুলিশের হাতে। বিকেলেই গ্রেফতারও করা হয়। ধৃতের নাম বিপাশা দত্ত। বাড়ি ব্যারাকপুরের নোনা চন্দনপুকুরে। সরকারি কর্মীকে মারধর, পুলিশের গাড়িতে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিকেল সোয়া পাঁচটা নাগাদ বিপাশা তাঁর মা-বাবা ও সন্তানকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে কলকাতা থেকে নোনা চন্দনপুকুর স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। সে সময় তালপুকুর মোড়ের কাছে ওভারটেক করতে গিয়ে কল্যাণবাবুর গাড়িকে ধাক্কা মারে মহিলার গাড়ি। তার পর প্রায় পাঁচশো মিটার দূরে, লাটবাগান পুলিশ ট্রেনিং কলেজের সামনে কল্যাণবাবুর গাড়িকে ওভারটেক করে পথ আটকান মহিলা। অভিযোগ, গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের গাড়ির বনেটে চাপড় মারেন। নিজেকে সরকারি কর্তার মেয়ে পরিচয় দিয়ে গাড়ির চালক নীতীশ বিশ্বকর্মাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করেন। গালাগালি দিতে দিতে ঘুষিও মারেন চালককে। এর পর আশপাশের কয়েক জন মহিলাকে ডেকে এনে বিপাশাকে একটি গাড়িতে বসিয়ে দরজা আটকে দেওয়া হয়। লাটবাগান থেকে মহিলা পুলিশের একটি দলও আসে। খবর দেওয়া হয় টিটাগড় থানায়। বিপাশাকে তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বিপাশাদেবীর বাবা সরাসরি সরকারি কর্মী নন। ডিভিসি-র এক কর্তার ব্যক্তিগত সহায়ক। তিনি পুলিশের কাছে ক্ষমাও চান। গ্রেফতার করার পর ভেঙে পড়েন বিপাশাও। জানান, গাড়িতে তাঁর বছর দেড় বছরের সন্তান ছিল। ধাক্কার চোটে সে সিট থেকে ছিটকে পড়ে। তাতেই মেজাজ হারান তিনি। |