বন্দি মুক্তি নিয়ে সরকার সমালোচিত |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েই ঘোষণা করেছিলেন, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেবেন। তার জন্য রাজনৈতিক বন্দি মুক্তি রিভিউ কমিটিও গড়েছিলেন তিনি। কিন্তু সমস্ত রাজনৈতিক বন্দি মুক্তি পাননি। এই অভিযোগে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন ওই রিভিউ কমিটিরই সদস্য সুজাত ভদ্র, নিহত মাওবাদী নেতা আজাদের স্ত্রী পদ্মা, মাওবাদী কবি ভারভারা রাও, এস এ আর গিলানি প্রমুখ। রাজনৈতিক বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কলকাতার মুসলিম ইনস্টিটিউটে ‘কমিটি ফর দ্য রিলিজ অফ পলিটিক্যাল প্রিজনার্স’-এর দু’ দিনের সম্মেলনের প্রথম দিন শনিবার সুজাতবাবু বলেন, “বন্দি মুক্তি রিভিউ কমিটির সুপারিশ ছিল, সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হোক। সরকার তা মানেনি।” সুজাতবাবুর দাবি, রাজ্যে বিচারাধীন রাজনৈতিক বন্দির সংখ্যা প্রায় ১৮০০। যদিও সরকারের বক্তব্য, রাজ্যে ৬৫ জন রাজনৈতিক বন্দি আছেন। রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক বন্দির সংজ্ঞা সংশোধন করারও বিরোধিতা করেন সুজাতবাবুরা। স্বরাষ্ট্র দফতরের এক শীর্ষ কর্তা অবশ্য জানান, রাজনৈতিক বন্দি মুক্তির প্রশ্নে সরকারের কিছু করার নেই। মুখ্যমন্ত্রী এক বিচারপতির নেতৃত্বে যে কমিটি গড়েছেন, তাদেরই সুপারিশে রাজনৈতিক বন্দি মুক্তি হয়। রাজনৈতিক বন্দির সংজ্ঞা সরকার বদলের প্রশ্নে ওই কর্তার বক্তব্য, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।
|
জেল থেকে ফের পুলিশি হেফাজতে কুণাল ঘোষ |
সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ধৃত তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষকে জেল থেকে ফের যেতে হল পুলিশি হেফাজতে। শুক্রবার বারাসত আদালত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু শনিবারই পুলিশ অন্য একটি মামলায় কুণালকে ব্যারাকপুর আদালতে তুললে বিচারক তাঁকে ছ’দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আট মাস আগে সারদা গোষ্ঠীর শাখা সংস্থা সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস-এর বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর আদালতে প্রতারণার অভিযোগ করেন খড়দহের ঠাকুর মিত্র গোপাল রোডের বাসিন্দা কল্পনা সেনগুপ্ত। সেই মামলার সূত্রেই পুলিশ এ দিন কুণালকে আদালতে হাজির করে। ওই মামলায় এর আগে সুদীপ্ত সেনকেও ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এ দিন সকালে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ব্যারাকপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় কুণালকে। বেলা দু’টো নাগাদ এজলাসে আসেন বিচারক। আদালতে এ দিন কোনও সরকারি আইনজীবী ছিলেন না। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের তদন্তকারী অফিসার কুণালবাবুকে সাত দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আর্জি জানান। কিন্তু কুণাল বিচারককে বলেন, “আমি কিছু বলতে চাই।” কুণালের হয়ে হাজির ছিলেন পাঁচ আইনজীবী। তাঁদের দাঁড় করিয়ে প্রায় কুড়ি মিনিট নিজের পক্ষে সওয়াল করেন কুণাল। বিচারককে তিনি বলেন, “মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। সারদা সংস্থার কোনও ব্যবসায়িক বিষয়ে আমি জড়িত ছিলাম না।” সব শুনে বিচারক কুণালকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুরনো খবর: একটি মামলায় জামিন, কুণাল তবু হাজতেই
|
দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ উপেক্ষা করেই শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ নেতা সরল দেবের মঞ্চে উপস্থিত হলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নরেন চট্টোপাধ্যায়। মধ্যমগ্রামে শনিবার সরলবাবুদের নেতৃত্বাধীন সংগঠনের আয়োজনে চিত্ত বসুর স্মরণে একটি সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানেই অনুগামীদের নিয়ে হাজির হয়েছিলেন নরেনবাবু। তিনি মঞ্চেও বসেছিলেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে দলে আলোচনা হবে। |