|
|
|
|
একটি মামলায় জামিন, কুণাল তবু হাজতেই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সারদা সংস্থার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ২৩ নভেম্বর। তার ২১ দিনের মাথায়, শুক্রবার বিধাননগরের এসিজেএম আদালত ওই মামলায় তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের জামিন মঞ্জুর করল। জামিন পেলেও কুণালবাবু অবশ্য ছাড়া পাচ্ছেন না। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে হাওড়া ও বারাসত আদালতে অন্যান্য মামলা চলছে। সেই সব মামলায় তিনি এখনও জামিন পাননি।
এসিজেএম আদালতে এ দিন কুণালবাবুর বিরুদ্ধে ৩৪ নম্বর মামলাটি ওঠে। ওই সাংসদের আইনজীবী সৌম্যজিৎ রাহা ও সমীর দাস আদালতে জানান, গত ছ’সাত মাস ধরে যাবতীয় তদন্তে পুলিশকে সাহায্য করেছেন তাঁদের মক্কেল। সেটা বিবেচনা করেই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। সরকার পক্ষের তরফে বিশেষ কৌঁসুলি শেখর চক্রবর্তী গরহাজির থাকায় এর কোনও বিরোধিতা হয়নি। বিচারক অপূর্বকুমার ঘোষ সাংসদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
বিধাননগর আদালতে তাঁর জামিন হলেও বারাসত আদালত কুণালবাবুকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশি হাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে, শুক্রবার তাঁকে বারাসত আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানে আইনজীবীর পরিবর্তে নিজেই কিছু বলতে চান বলে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিষ্ট্রেট এডুইন লেপচার কাছে আবেদন জানান তিনি। ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেন। আত্মপক্ষ সমর্থনে কুণালবাবু বলেন, আমি রাজ্যসভার সদস্য হয়েও কখনও সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করিনি। আমি যে অসুস্থ, সে-কথাও বলিনি। আমি সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের মতো পালাইনি, পালাবও না। নীতিগত প্রশ্নে জামিন চাইছি।
কুণালবাবুর আইনজীবী অনুপম রায়চৌধুরী পরে আদালতের বাইরে বলেন, আমার মক্কেলকে বারাসত থানার ৯০১ নম্বর কেসে প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মেয়াদ শেষের আগেই এ দিন তাঁকে আদালতে তোলা হল। নতুন একটি মামলাতেও কুণালবাবুকে যুক্ত করা হয়েছে। শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি বিকাশরঞ্জন দে কুণালবাবুর জামিনের বিরোধিতা করে তাঁকে পুলিশি হাজতে পাঠানোর আর্জি জানান। ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখতে বলেন।
সারদা কাণ্ডে কুণালবাবুর গোপন জবানবন্দির বিষয়ে এ দিনও কোনও ফয়সালা হয়নি। কুণালবাবুর গোপন জবানবন্দির আবেদনে সম্মতি দিয়েছিল বিধাননগর আদালত। তাতে সরকার পক্ষ আপত্তি জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানায়। তাদের সেই সময় দেয় বিধাননগর আদালত। কিন্তু সরকার পক্ষের কোনও কৌঁসুলি এ দিন আদালতে ছিলেন না। তাই উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে ৩৪ নম্বর মামলার তদন্তকারী অফিসার প্রভাকর নাথ আদালতে জানান, তাঁরা ইতিমধ্যে চার্জশিট পেশ করেছেন। চার্জশিটে সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত, সংস্থার ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়, সোমনাথ দত্ত ও কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, হুমকি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিচারক জানান, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ ডিসেম্বর।
|
পুরনো খবর: কুণাল এ বার বারাসত থানায়, সুদীপ্ত হাওড়ায় |
|
|
|
|
|