এক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে গড়ফায়। মৃতার নাম প্রতিমা নস্কর। বাড়ি ঘুটিয়ারি শরিফে। পুলিশ জেনেছে, গরফার ১৭২ শরৎ ঘোষ গার্ডেন রোডে নীলিমা সেনগুপ্ত নামে এক মহিলার বাড়িতে ১২ বছর ধরে পরিচারিকার কাজ করতেন প্রতিমা।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেলে প্রতিমার দিদি মিঠু নস্কর গরফার ওই বাড়িটির সামনে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন বোনকে। নীলিমাদেবী তখন ছিলেন না। বাড়িতে ছিলেন নীলিমাদেবীর অসুস্থ স্বামী শান্তনু সেনগুপ্ত। পুলিশের দাবি, প্রতিমা পড়ে থাকলেও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বা পুলিশে খবর দিতে তৎপর হননি তাঁর দিদি। রাত আটটা নাগাদ নীলিমাদেবী বাড়ি ফেরার পরে তিনি পুলিশে খবর দেন।
পুলিশে খবর দিতে এত দেরি কেন হল? মিঠু বলেন, “বুঝতে পারিনি কী করা উচিত। বোন তখনও ঘোরের মধ্যে নড়া-চড়া করছিল। নাক-কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল। ওর মুখে জল দিয়ে আমরা জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করছিলাম।” পুলিশ জানায়, প্রতিমা, মিঠু এবং তাঁদের মা-ও গরফা অঞ্চলে বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। বোনের অবস্থা দেখে মিঠু মাকে ডেকে এনেছিলেন। নীলিমাদেবী জানান, তিনি বাড়ি ফেরার পরেও প্রতিমার প্রাণ ছিল। তাঁর কথায়, “ঠিক কী হয়েছে, প্রথমে আমিও বুঝিনি। পরে অবস্থা ভাল নয় দেখে পুলিশে খবর দিই।”
পুলিশ এসে প্রতিমাকে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। তবে এখটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সম্ভবত তিন তলার ছাদ থেকে নীচে পড়ে যান প্রতিমা। তাঁর মাথার সামনে চোট থেকে রক্তপাত হয়। ডিসি (সাউথ সাবার্বান) সন্তোষ পাণ্ডে বলেন, “ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতার শরীরে মারধরের চিহ্ন মেলেনি। সম্ভবত দুর্ঘটনার জেরেই এই মৃত্যু।” |