অধীর চৌধুরীর পরে তৃণমূল যুবার সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় রাজ্যের আর এক কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি।
শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল যুবার প্রথম জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য জনসভায় কার্যত লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করেন অভিষেক। মঞ্চে তাঁর পাশেই ছিলেন রায়গঞ্জের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ভাই সত্যরঞ্জন, যিনি সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মঞ্চে অভিষেকের সঙ্গে আলাদা ভাবে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলতেও দেখা যায় সত্যরঞ্জনকে।
লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করার আবেদনকে সামনে রেখে অভিষেক এ দিন বিঁধেছেন রায়গঞ্জের বর্তমান সাংসদ দীপা দেবীকে। জনতার কাছে অভিযোগ করেছেন, “রায়গঞ্জের সাংসদ কোনও উন্নয়নই করেননি। |
অভিষেকের সঙ্গে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ভাই সত্যরঞ্জন। ছবি: তরুণ দেবনাথ। |
উনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা রটান। অন্য কাজ নেই।” দলনেত্রীর সুরেই অভিষেক কংগ্রেস ও সিপিএমের ‘বোঝাপড়া’ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, “কংগ্রেস এই জেলায় সিপিএমকে জেলা পরিষদ ছেড়ে দিয়েছে। এতেই কংগ্রেস ও সিপিএমের আঁতাঁত স্পষ্ট হয়েছে।” দীপার ‘খাসতালুকে’ গিয়ে অভিষেকের বক্তব্য, “২০০৯-এ তৃণমূলের সাহায্য ছাড়া উনি সাংসদ হতে পারতেন?”
রাজ্য তৃণমূল সূত্রের দাবি, পঞ্চায়েত ভোট ও তার পরে বেশ কিছু পুরভোটে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের কোণঠাসা হয়ে পড়াকে কাজে লাগাতে তেড়েফুঁড়ে মাঠে নেমেছেন দলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। যে সব জেলায় কংগ্রেসের কিছুটা সংগঠন আছে, সেখানে শাখা সংগঠনগুলিকে এগিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক চাপ বাড়ানো হচ্ছে। যে জন্য মঙ্গলবার বহরমপুরের পরে, এ দিন রায়গঞ্জে যান অভিষেক। সত্যরঞ্জন দাশমুন্সি বলেন, “পারিবারিক সম্পর্কের সঙ্গে রাজনীতির ময়দানকে মেলালে চলবে না। দীপাদেবী আমার বৌদি হলেও রাজনীতিতে তিনি আমার বিরোধী।”
দীপার পাল্টা জবাব, “তৃণমূল নেতারা রাজনীতির নামে মা, মাটি, মানুষ ও মহিলাদের অপমান করছেন। লোকসভা নির্বাচনে মানুষই এর জবাব দেবেন।” তাঁর সংযোজন, “রায়গঞ্জে কংগ্রেস জিতেছিল নিজের শক্তিতে। জোটের পরেও গোঁজ কারা দিয়েছিল, তা সবাই জানে।” |