নিজস্ব সংবাদদাতা • দার্জিলিং |
সহবাসের পরে তরুণীকে যৌনপল্লিতে বিক্রির দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। গত ১০ ডিসেম্বর কার্শিয়াং আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তারকনাথ ভগৎ জঘন্য এই অপরাধের দায়ে বিকি বিশ্বকর্মা ওরফে বিশাল ছেত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। নারী পাচারের ঘটনায় বিকির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে মীনা দরজি নামে যুবতীকে দশ বছর এবং যমুনা থাপাকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মূল অভিযুক্ত বিকি বিশ্বকর্মাকে ২০১০-এ দায়ের হওয়া এক তরুণীকে ফুঁসলিয়ে সহবাস ও পাচারের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। কার্শিয়াঙের বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলে বিকি। নিজেকে সেনা বাহিনীর অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয় তরুণীকে। ২০১০ সালের অগস্ট মাসে বিকির পরিচিত অন্য অভিযুক্ত দুই মহিলা তরুণীকে শিলিগুড়িতে নিয়ে আসেন। একটি হোটেলে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বাড়ির লোকের সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলে তাকে পুনেতে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় ।
তরুণীর পরিবারের তরফে সেই সময়ে কার্শিয়াং থানায় অভিযোগ করা হয়। সে বছরেই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা পুনে থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত যুবককেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তিন বছর ধরে মামলা চলার পরে চলতি মাসে মামলায় সাজা ঘোষণা করে আদালত। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক রঙ্গু শোরিয়া বলেন, “নারী পাচারের ঘটনায় আদালত কঠোর সাজা ঘোষণা করায় আমরা খুশি। এতে নারী পাচার রুখতে কাজ করা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে শুরু করে সরকারি কর্মী সকলেরই মনোবল বাড়বে।” |