|
|
|
|
বাড়িই নেই, স্নাতকে ছাত্র চায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
সাবেরী প্রামাণিক • কলকাতা |
স্নাতকোত্তরের কিছু কিছু ক্লাস চলছে। কিন্তু জমির ব্যবস্থা হলেও নিজেদের কোনও বাড়ি এখনও নেই। এই অবস্থায় আসানসোল-দুর্গাপুরের ২৩টি কলেজকে আগামী শিক্ষাবর্ষেই তাদের অধীনে এনে সেগুলিতে ছাত্র ভর্তির কাজ শুরু করতে চায় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৪-’১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ওই কলেজগুলিকে অনুমোদন দিতে তাঁরা প্রস্তুত।
নবগঠিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনও নিজস্ব ভবন তৈরি হয়নি। গড়া হয়নি কলেজ পরিদর্শক, পরীক্ষা নিয়ামক পদগুলিও। এই পরিস্থিতিতে স্নাতক পাঠ্যক্রম চালানো সম্ভব হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের আশা, পাঠ্যক্রম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এবং প্রশাসক পদ রাজ্য সরকার দ্রুত তৈরি করবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগে সেই প্রস্তুতি শেষ হয়ে গেলে ছাত্র ভর্তি শুরু করা যাবে। তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত বছর জানুয়ারিতে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন গড়ার জন্য দু’নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন কাল্লা রোড এলাকায় আট একর জমি নেওয়া হয়েছে। আপাতত অস্থায়ী ভাবে স্নাতকোত্তর শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য নির্মিত অব্যবহৃত একটি তেতলা ভবনে। ইংরেজি, বাংলা, ইতিহাস ও অঙ্কে মোট ১২০ জন ছাত্রছাত্রী স্নাতকোত্তরের ক্লাস করছেন। পঠনপাঠন চালানো হচ্ছে ৩০ জন অতিথি শিক্ষককে দিয়ে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক বলতে শুধু উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার। অন্য কোনও প্রশাসনিক পদ নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এই পরিস্থিতিতে ২৩টি কলেজকে অনুমোদন দিয়ে ছাত্র ভর্তির কাজ শুরু করা যাবে কী ভাবে?
উপাচাযর্র্ অনুরাধা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা যে কলেজগুলিকে অনুমোদন দিতে প্রস্তুত, সরকারকে তা জানিয়ে দিয়েছি। এ বার সরকার কলেজ পরিদর্শক, পরীক্ষা নিয়ামকের মতো প্রয়োজনীয় পদ, পরিকাঠামোর বন্দোবস্ত করুক। আগামী শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই যদি সেই পরিকাঠামোর ব্যবস্থা হয়ে যায়, ছাত্র ভর্তি করে পঠনপাঠন শুরু করতে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।”
এর আগে, ২০০৮-’০৯ শিক্ষাবর্ষে উত্তর ২৪ পরগনার কলেজগুলিকে নিয়ে যখন বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়, তখন সেখানেও পরীক্ষা নিয়ামক, কলেজ পরিদর্শক ইত্যাদি পদ ছিল না। তার জেরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতে পরীক্ষা নিয়ে ফলপ্রকাশে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। এক বার ফল প্রকাশ করে তা প্রত্যাহার করে ফের নতুন ভাবে ফল ঘোষণা করতে হয়। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করবে?
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবাবু শুক্রবার বলেন, “এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এক বার কথা বলা হবে। তার পরে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠিটি পর্যালোচনা করে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।”
|
(সহ-প্রতিবেদন: সুশান্ত বণিক) |
|
|
|
|
|