|
|
|
|
|
|
|
নাটক সমালোচনা... |
|
জমল না গেছোবাবার গল্প |
‘সে’ নাটকটি দেখে এসে লিখছেন মনসিজ মজুমদার। |
হ্যাপনিঙস-এর রবীন্দ্র নাট্যোৎসবে এ বারে যে তিনটি নাটক উল্লেখযোগ্য তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের অনন্য গদ্যরচনা ‘সে’। পুপে ঠাকুরদাদার গল্পের শ্রোতা আবার চরিত্রও বটে, কিন্তু গল্পগুলি সব সময়ে শিশুবোধ্য নয়। ‘সে ’ নিয়ে নাটক করার চেষ্টা আগে কখনও হয়নি, তাই মুম্বইয়ের জিলো রেপরটারি ‘শি-হি-সে’ একটি অভিনব প্রযোজনা সন্দেহ নেই। মঞ্চের এক দিকে ঠাকুরদাদা ও পুপে বা সুকুমারের গল্প-সংলাপ, অন্য অংশে কুশীলবেরা ভারতনাট্যম মুদ্রায় নৃত্যসুলভ রূপান্তর ঘটান। |
|
এই নৃত্যানুষ্ঠান যে গল্পগুলিকে নাট্যরূপ দিয়ে প্রযোজনার নাট্যগুণ সমৃদ্ধ করেছে তা নয়, কিন্তু ‘সে’র কথাবস্তুর জন্যে একটি মঞ্চ পরিবেশ রচনা করেছে। যদিও মূল রচনার দ্যুতিময় সরসতা বা কখনও কখনও অনুচ্চ কৌতুকের ব্যঞ্জনাকে মঞ্চায়িত করতে সাহায্য করেনি।
গেছোবাবার বা বৈজ্ঞানিকদের হুঁহাউ দ্বীপের গল্প তেমন জমেনি। সে রচনায় যে এক সহজ নাট্যরস আছে যা পুপে ও পাঠক দু’জনকেই আকৃষ্ট করে পরিচালক সেদিকে নজর দেননি। তিনি কোনও সিরিয়াস বিষয় বা অর্থ খুঁজে পাননি তাই, আবহ সঙ্গীতে ইঙ্গিত দিয়েছেন ‘অনেক কথা যাও যে বলে কোনও কথা নাহি বলি’। আত্মীয়স্বজনেরা গল্পের তাগিদে ‘আমি-তুমি’র বন্ধন ছেড়ে গল্পের তৃতীয় জন ‘সে’ হয়ে উঠলেও পুপে আর সুকুমার একদিন আবিষ্কার করে যে ছেলেবেলার গল্পের ‘সে’র দূরত্বেও কোথাও অলক্ষ্য সেতুবন্ধন ঘটেছিল। এমনই একটি থিম প্রযোজনায় আভাসিত হলেও কেবল শেষদৃশ্যে পুপের কান্নায় অতিমাত্রিক হয়ে উঠেছে। বাস্তবের আর গল্পের চরিত্র যে একই ব্যক্তি নয় বোঝাতে একই ভূমিকায় একাধিক নটের অভিনয় করেছেন কিন্তু চরিত্রগুলি দানা বাঁধেনি। সব চেয়ে মনে রাখার পুপের ভূমিকায় শর্বরী দেশপান্ডে আর মরাঠি কণ্ঠে বিশুদ্ধ বাংলা উচ্চারণে গাওয়া দু’টি রবীন্দ্রসঙ্গীত। |
|
|
|
|
|