আপনার সাহায্যে...
শিলিগুড়ির ঠাণ্ডা-গরম পরিবেশে
বাড়ছে কাশির দাপট

প্র: শিলিগুড়ির এই ঠাণ্ডা-গরম পরিবেশে ঘরে ঘরে কাশির প্রকোপ। কেন?

উ: সাধারণত সিজন চেঞ্জে এ রকম হয়ে থাকে। অ্যালার্জি ঘটিত কারণেও অনেক সময় কাশি হয় কিন্তু সারতে চায় না। আবার আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ভাইরাসঘটিত কারণেও এমন হয়। তবে অনেক দিন ধরে কাশি চলতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

প্র: উত্তরবঙ্গে টিবি রোগের দাপট এত বেশি কেন?
উ: হাঁচি, কাশি বা জোরে কথা বললে এই রোগ বেশি ছড়ায়। তাই অনেকেরই মধ্যে এটা ছড়িয়ে পড়ে। এখানকার অনেককেই দেখেছি যেখানে-সেখানে থুতু ফেলেন। এটা যে কত বড় বিপজ্জনক, তা কি তারা বোঝেন?

প্র: পুরুষ না মহিলা কাদের বেশি টিবি রোগ হয়?
উ: পুরুষদেরই বেশি।
প্র: এই সব অঞ্চলে অনেকেই বলেন কাশি থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। এটা কি খুবই বিপজ্জনক?
উ: নানা কারণে এটা হয়। তবে কাশি থেকে রক্ত বেরোলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

প্র: টিবি কি সত্যিই পুরোপুরি সারে?
উ: সারে। কিন্তু সেটা কোন পর্যায়ে ছিল সেটা দেখতে হবে। তবে কিছু কিছু টিবি পুরোপুরি সারে না। আমাদের ভাষায় নর্মাল টিবি সঠিক চিকিৎসায় পুরোপুরি সেরে যায়।

প্র: এই রোগ সারাতে শুনেছি একটা কোর্স কমপ্লিট করতে হয়। সবাই কি করেন?
উ: করেন না বলেই তো টিবি কমে যাওয়ার পরে আবার তা ফিরে আসে।

প্র: টিবি তো ফুসফুসের দফারফা করে দেয়, তাই না?
উ: শুরুতেই চিকিৎসা হলে ফুসফুসের অতটা ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু বেশি ক্ষতি হয়ে গেলে পরবর্তীতে কাশি সারতে চায় না। এটার সবটাই নির্ভর করে কোন ক্ষেত্রে কতটা ওই রোগ ছড়িয়েছে।

প্র: এখানে তো বাচ্চাদেরও টিবি হয় আকছার...
উ: এখানে আগেও হত, এখনও হয়। বাচ্চাদের বেশি হওয়ার কারণ পরিবারে বড়দের কারও হয়ে থাকলে যে নিয়ম মেনে চলতে হয়, তা মানেন না। ফলে ওই সংক্রমণ চট করে বাচ্চাদের ধরে নেয়।

প্র: এখন তো কাশি হলেই যে-কেউ দোকান থেকে কাফ সিরাপ কিনে খান। বেশ ভয়ের ব্যাপার না?
উ: শুধু ভয় কেন, এর থেকে কত বড় ক্ষতি হতে পারে, সে কি তার জানা আছে? প্রেসক্রিপশন ছাড়া কাশির ওষুধ খাওয়া উচিত না।

যোগাযোগ: ২৪৩৩১১২
ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.