|
|
|
|
রেশনে স্বচ্ছতা আনতে বৈঠক
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
খাদ্যশস্য নিলেই রসিদ দিতে হবে। বাইরের বোর্ডে বরাদ্দের কথাও লিখে রাখতে হবে। গণবণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে এই দাওয়াই বহু পুরনো। কিন্তু আদৌ কী মেনে চলছেন রেশন ডিলারেরা? শুক্রবার এই সব নিয়েই বৈঠক হল কালেক্টরেটের সভাকক্ষে। প্রশাসনিক রিপোর্টে মেনে নেওয়া হচ্ছে, রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এখনও আসেনি। এখনও সব জায়গায় নিয়ম মেনে রসিদ দেওয়া হয় না। কোথাও কোথাও ছোট্ট ব্ল্যাকবোর্ডে চক দিয়ে বরাদ্দের পরিমাণ লেখা থাকলেও তা প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করা হয় না। কোথাও আবার এমন হিজিবিজি ভাবে লেখা থাকে যা থেকে বোঝাই কঠিন যে কোন খাদ্যশস্যের কত বরাদ্দ এসেছে। এদিনের বৈঠকে তাই সিদ্ধান্ত হয়, এ বার থেকে রসিদ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। তাছাড়াও এ বার ডিজিট্যাল বোর্ডে বরাদ্দ লেখার ব্যবস্থা করতে বলা হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ বলেন, “গণবণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা খুবই জরুরি। কেউ গরিব মানুষদের বঞ্চিত করার চেষ্টা করলে মেনে নেওয়া হবে না।” নতুন বছর থেকেই তা কার্যকরী হবে বলেই জানা গিয়েছে। প্রকৃত কার্যকরী হচ্ছে কি না দেখতে পরিদর্শনও হবে বলে জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতর জানিয়েছে।
এরই পাশাপাশি লেভি সংগ্রহ নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। এ বার চাষিদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার কথা। যে ধান থেকে চালকলে চাল তৈরির পর তা কিনে নেবে সরকার। রাজ্য সরকার সরাসরি ৭৫ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনবে। এছাড়াও বেনফেড, কনফেডের মতো অন্যান্য সরকারি সংস্থারও চাল কেনার কথা। এক্ষেত্রে ২ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। তার থেকে দেড় লক্ষ মেট্রিক টন চাল কিনবে ওই সংস্থাগুলি। সব মিলিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এ বার লেভি সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করা হয়েছে ২ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন (চাল)।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই শিবির করে ধান কেনা শুরুও হয়েছে। জেলার সর্বত্রই শিবির করে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার জন্যও পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভাধিপতি বলেন, “এ বার মাঠ থেকে ধান তুলতে চাষিদেরও দেরি হওয়ায় সর্বত্র শিবির করার পরিস্থিতি নেই। ধান উঠে গিয়েছে বলে খবর এলে সেখানে ধান কেনার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|