|
|
|
|
হাতবদলের পরে বিরোধী
দলনেতাই এ বার পুরপ্রধান
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে গত সোমবারই আরামবাগ পুরসভার দখল বামেদের হাত থেকে চলে আসে তৃণমূলের দখলে। শুক্রবার পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান মনোনীত হলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন নন্দী। এত দিন তিনি পুরসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন। তবে, বিরোধী দলনেতা কে হবেন, তা-ও বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
পুরসভার ওই বোর্ড মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মহকুমাশাসক অরিন্দম রায়কে জানানো হয়। |
 |
নতুন পুরপ্রধান। —নিজস্ব চিত্র। |
মহকুমাশাসক বলেন, “ওই সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হচ্ছে। রাজ্য সরকারই নতুন পুরবোর্ডের সদস্যদের শপথ গ্রহণের তারিখ নির্দিষ্ট করবে।” নতুন চেয়ারম্যান মনোনীত হয়ে স্বপনবাবু বলেন, “দলমত নির্বিশেষে পুর এলাকার বাসিন্দাদের সার্বিক পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের মূল লক্ষ্য হবে শহরের নিকাশি সমস্যার সমাধান করা এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা।”
২০১০ সালের পুরভোটে হুগলির ১৩টি পুরসভার মধ্যে একমাত্র আরামবাগে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল বামেরা। ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে তারা জেতে ১২টিতে। সম্প্রতি ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর প্রশান্ত যশ পদত্যাগ করেন। গত সোমবার ভাইস-চেয়ারম্যান দীপক সরকার-সহ ছয় বাম কাউন্সিলর যোগ দেন তৃণমূলে। ফলে, পুরসভায় তৃণমূলের সদস্যসংখ্যা বেড়ে হয় ১২। সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে বামেরা। পদত্যাগ করেন চেয়ারম্যান গোপাল কচ। এ দিন চেয়ারম্যান মনোনয়ন নিয়ে পুরসভায় বোর্ড মিটিং উপলক্ষে দুপুরে মহকুমাশাসকের অফিস সংলগ্ন চত্বরে সভা করে তৃণমূল।
এই উপলক্ষে এসেছিলেন মন্ত্রী রচপাল সিংহ, বেচারাম মান্না-সহ জেলার তৃণমূল বিধায়ক, নেতারা। মঞ্চে ছিলেন সদ্য বামফ্রন্ট থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলরেরাও। মন্ত্রীরা এ দিন কাউন্সিলরদের পুরসভার নানা রকম উন্নয়নমূলক কাজে জোর দেওয়ার কথা বলেন।
ওই সভায় শ্রোতা হিসেবে পুর এলাকা ছাড়াও মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন। সভার শেষে শহর জুড়ে নতুন চেয়ারম্যানকে নিয়ে ধন্যবাদ-জ্ঞাপক মিছিল করে তৃণমূল।
কেব্ল ছিঁড়ে বিপত্তি। পুরসভার পাইপ লাইনের কাজ করতে গিয়ে বিএসএনএলের কেব্ল ছিঁড়ে কয়েকশো গ্রাহকের টেলিফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বিকল হয়ে পড়ল ভদ্রেশ্বরে। স্কুল, ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন জায়গাতেই দিনভর কাজ করতে সমস্যা হয়। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের না জানিয়েই কাজ হচ্ছিল। গাঁইতির আঘাতে কেব্ল ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে পুরপ্রধান দীপক চক্রবর্তী বলেন, “পূর্ত দফতরের অনুমতি নিয়ে কাজ হচ্ছিল। মাটি খোঁড়ার সময় অসাবধানে গাঁইতি লেগে কেব্ল ছিঁড়ে যায়।” |
|
|
 |
|
|