ভ্যাট সরালেও আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি। ছবিটা প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের উপর একটি অভিজাত শপিং মলের কাছের। তাই পুরনো জায়গায় আবর্জনা ফেলা রুখতে এলাকায় মাইক বাজিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
আগে ভ্যাটের আবর্জনা উপচে পড়ত রাস্তায়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবিতে পুরসভা এই জায়গা থেকে ভ্যাটটি কিছুটা ভেতরে যোধপুর পার্কে সরিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই জায়গায় আবর্জনা ফেলা চলেছে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “পুরনো ভ্যাটটি এখান থেকে সরানো হয়েছে। সম্প্রতি যোধপুর পার্কে আধুনিক মানের কম্প্যাক্টর বসানো হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে।”
|
এ ভাবেই পড়ে থাকে আবর্জনা। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য। |
ওই এলাকায় শপিং মল ছাড়াও রয়েছে রেস্তোরাঁ এবং একটি হাসপাতাল। কলকাতা পুরসভা শহরের বিভিন্ন জায়গায় কমপ্যাক্টর বসালেও এখানে বসায়নি। এই ভ্যাটের কিছুটা দূরেই যোধপুর পার্কে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বসানো থাকছে মোবাইল কম্প্যাক্টর। বর্তমানে এই কম্প্যাক্টরটি
ভ্যাট হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
অথচ আনোয়ার শাহ রোডে পুরনো ভ্যাটের জায়গাতেই এখনও বাসিন্দারা আবর্জনা ফেলেন বলে পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, যোধপুর পার্কে যেখানে এই কম্প্যাক্টর বসানো হয়েছে সেটি এলাকা থেকে বেশ কিছুটা দূরে। সেই কারণে অনেক সময় রাস্তার ধারেই আবর্জনা ফেলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মনোতোষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “যোধপুর পার্কে গিয়ে জঞ্জাল ফেলা সম্ভব নয়। কাছাকাছি ময়লা ফেলার জায়গা থাকলে সুবিধা হয়।”
কলকাতা পুরসভা এখানে কোনও আধুনিক মানের ভ্যাট কিংবা মোবাইল কমপ্যাক্টর বসায়নি কেন? দেবব্রতবাবু জানান, এই ধরনের কোনও প্রকল্প করতে গেলে যে পরিমাণ জায়গা দরকার তা ওখানে নেই। তার ফলেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মালা মহলানবিশ বলেন, “ময়লা ফেলার ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানো একান্ত জরুরি। মাইক বাজিয়ে সচেতনতা কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে।
তাতে পুরো সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে হয় না। এখানে যাতে ময়লা ফেলা না হয় সে ব্যাপারে লক্ষ রাখা হবে। অন্য দিকে, পুরনো ভ্যাটের আশেপাশে যাতে আধুনিক মানের ভ্যাট তৈরির জন্য জমি পাওয়া যায় সে দিকেও ভাবনা চিন্তা করব।” |