|
|
|
|
টুকরো খবর |
রাস্তার কাজে স্থগিতাদেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ক্যামাক স্ট্রিট চওড়া করার কাজ আপাতত স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাস্তা চওড়া করতে কলকাতা পুরসভা বহু গাছ কেটে ফেলেছে, এই অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলা করেছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার নির্দেশ দেয় বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে এই বিষয়ে বক্তব্য জানাতে বলেছিলেন বিচারপতি। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আইনজীবী সিদ্ধার্থ মিত্র বলেন, রাস্তাটি কেন চওড়া করতে হবে, তা নিয়ে সমীক্ষা হয়নি। পুরসভার বলে, ওখানে গাছ কাটা হবে না, গাছ তুলে অন্যত্র বসানো হবে।
|
|
সিদ্ধার্থবাবু এ দিন দেখান, কী ভাবে গাছ কাটা হয়েছে। এর পরেই স্থগিতাদেশ জারি করে ডিভিশন বেঞ্চ। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে পুর প্রশাসন। মেয়র পারিষদ (রাস্তা) সুশান্ত ঘোষ জানান, শহরের যানজটের সমস্যা মেটাতেই ক্যামাক স্ট্রিট-সহ চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, বেলতলা রোড চওড়া করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ক্যামাক স্ট্রিট দিয়ে শুরু হয়েছিল। স্থগিতাদেশের খবর পেয়েই সুশান্তবাবু মহাকরণে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করেন। পরে ফিরহাদ বলেন, “১৭ ডিসেম্বর শুনানি রয়েছে। হাইকোর্টের সুবিচারের আশায় রইলাম।” তিনি জানান, শহরের উন্নয়নে রাস্তা চওড়া করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বন দফতরের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
|
অস্ত্র-সহ ধৃত |
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার হল এক যুবক। শুক্রবার, হাওড়া স্টেশন থেকে। ধৃত কৃষাণকুমার শর্মা মুঙ্গেরের বাসিন্দা। রেল পুলিশ জানায়, ভোর ৬টা ২০মিনিট নাগাদ হাওড়া স্টেশনের ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকে ডাউন জামালপুর এক্সপ্রেস। সংরক্ষিত কামরা থেকে নামে কৃষাণ। তার হাতে ছিল একটা বড় ব্যাগ। ট্রেন থেকে নামতেই তাকে ঘিরে ধরেন সাদা পোশাকের জিআরপি কর্মীরা। ব্যাগটি থেকে চারটি দেশি নাইনএমএম পিস্তল, চারটে ম্যাগাজিন, দশ রাউন্ড গুলি মেলে। হাওড়ার রেল পুলিশ সুপার মিলনকান্ত দাস বলেন, “ওই যুবক অস্ত্রবাহক। অস্ত্র সরবরাহকারী ব্যক্তি সম্ভবত পাশের কামরায় ছিল। সে পালায়।”
|
ফুটপাথে আগুন জ্বেলে রান্নার উপরে নিষেধাজ্ঞা |
কলকাতার ফুটপাথের দোকানে আর আগুন জ্বেলে রান্না করা যাবে না। ব্যবসা করলে সরকারি আইন মানতেই হবে। শুক্রবার মহাকরণে এ কথা জানিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমি হকারদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছি। তাঁদের বোঝাচ্ছি যে ফুটপাথে রান্না করবেন না। আগুন লাগলে ক্ষতি হবে। তার দায় কে নেবে? হকাররা বুঝেছেন। চিড়িয়াখানার রাস্তায়, মেট্রো সিনেমার সামনে এবং ব্রেবোর্ন রোডে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করা খাবার বিক্রি বন্ধ হয়েছে। অন্যান্য জায়গায় বন্ধ করতে হকার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছি।” পুরমন্ত্রী এ দিন জানান, শহরে পৌনে তিন লক্ষ হকার রয়েছেন। সকলে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করা খাবার বিক্রি করেন না। গরম খাবার এনে বিক্রিতে আপত্তি নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান হকাররা সুষ্ঠু ভাবে কাজ করুন। কিন্তু ফুটপাথে আগুন জ্বালিয়ে খাবার বিক্রির ক্ষেত্রে ঝুঁকি থেকেই যায়।
|
দুর্ঘটনা, মৃত ২ |
দু’টি দুর্ঘটনায় শুক্রবার মৃত্যু হল দু’জনের। পুলিশ জানায়, সকালে হেস্টিংস মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময়ে একটি লরি ধাক্কা মারে জ্যোতি কুমারী (৩৫) নামে এক মহিলাকে। পিজিতে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। লরি-সহ আটক হয়েছে চালক। দুপুরে রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটে পুরসভার একটি ডাম্পারের সঙ্গে ট্যাক্সির সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ট্যাক্সিচালক প্রমোদ ঝা (৫০)-র। তাঁকে আরজিকরে মৃত ঘোষণা করা হয়। দুর্ঘটনার সময়ে ট্যাক্সিতে থাকা এক যাত্রী সামান্য আহত হন। ডাম্পার-চালক পলাতক।
|
শ্লীলতাহানি, ধৃত |
চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে শুক্রবার গ্রেফতার হলেন এক শিক্ষক। পুলিশ জানায়, ধৃত সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি বেহালায়। তিনি হরিদেবপুরের একটি স্কুলের শিক্ষক। পুলিশ জানায়, বছর দশেকের ওই ছাত্রী ঠাকুরপুকুর থেকে যে স্কুল বাসে ওঠে তাতে যেতেন সিদ্ধার্থবাবুও। ছাত্রীর পরিবারের তরফে অভিযোগ, কিছু দিন ধরেই অশালীন আচরণ করছিলেন ওই শিক্ষক। সে যাতে কিছু না জানায় তাই ওই শিক্ষক তাকে ভয় দেখাতেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, মেয়েটির মানসিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে দেখে পরিজনেরা কারণ জানতে চাইলে মেয়েটি মাকে সব জানায়। তিনি থানায় অভিযোগ করলে গ্রেফতার করা হয় ওই শিক্ষককে।
|
হচ্ছে নতুন থানা |
কলকাতা পুলিশ এলাকায় ৮টি নতুন থানা হচ্ছে। শুক্রবার স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। নতুন থানাগুলি হল— ঠাকুরপুকুর ভেঙে সরশুনা, কসবা ভেঙে রাজডাঙা, যাদবপুর ভেঙে গল্ফগ্রিন, তিলজলা ভেঙে আনন্দপুর, পাটুলি ভেঙে বাঘা যতীন, পূর্ব যাদবপুর ভেঙে পঞ্চসায়র, বেহালা ভেঙে দক্ষিণ বেহালা এবং হরিদেবপুর ভেঙে বড়িশা। সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। নতুন থানার জন্য ১৫৬টি সাব-ইনস্পেক্টর, ২১টি মহিলা সাব-ইনস্পেক্টর এবং ১৬৯টি সার্জেন্ট পদ তৈরি করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|