|
|
|
|
আকাশপথে সাফল্য, বিশ্বের দরবারে নতুন উড়ান ভারতের
সুনন্দ ঘোষ• কলকাতা |
এখন স্থান নবম। সাত বছরের মধ্যে বিমান পরিবহণে প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্যে এক ধাপ এগোল ভারত।
এ দেশে বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দিতে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন
|
অরুণ মিশ্র |
অর্গানাইজেশন (আইকাও)-এর উচ্চপদে বসানো হল এক ভারতীয়কে। পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস অফিসার অরুণ মিশ্র যোগ দিচ্ছেন ওই পদে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বেদপ্রকাশ অগ্রবালের দাবি, “এই পদের অন্যতম দাবিদার চিন। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থার জন্য আকাশ অনেক বেশি খুলেছে ভারত। এতে আইকাও খুশি।” বিমান পরিবহণে ভারতের অগ্রগতির জন্য এমন সুযোগ মিলেছে বলে মনে করেন বেদপ্রকাশ।
নিজেদের গণ্ডীর মধ্যে আকাশপথে নিরাপত্তার উপর নজরদারি চালাতে প্রতিটি দেশের নিজস্ব সংস্থা আছে। ভারতে যেমন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। অরুণবাবু বর্তমানে এর শীর্ষপদে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তেমনই ‘ওয়াচ ডগ’-এর কাজ করে আইকাও। তাই আইকাও-এর ক্ষমতাকে সমীহ করে চলতে বাধ্য হয় তাদের সদস্য ১৯১টি বিমান সংস্থা। বিমানকর্তারা জানান, আকাশপথে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার সামান্য ত্রুটি হলে সদস্য-সংস্থাগুলির উপরে আইকাও-এর খাঁড়া নেমে আসে। তাই আইকাও-কে কার্যত ভয় করে সংস্থাগুলি। আইকাও-এর আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল প্রতিটি দেশের বিমান পরিবহণের শ্রীবৃদ্ধিতে পরামর্শ দেওয়া এবং সহযোগিতা করা।
ইন্ডিগো-র এক কর্তার কথায়, “আইকাও-এর কর্মক্ষমতা বিবেচনা করে বলা যায় যে, ওই সংস্থার একটি উচ্চপদে ভারতকে নির্বাচন করায় দেশের বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রটি আরও সমৃদ্ধ হবে, কারণ অরুণ মিশ্র ভারতীয় প্রেক্ষিতটা অন্যদের থেকে ভাল বুঝবেন।” বিমানকর্তারা জানান, ভারতে ৯০টি বিমানবন্দর থেকে প্রতি দিন ৭৫০টি-রও বেশি বিমান ওঠা-নামা করে। সেপ্টেম্বরে ১ কোটি ২৬ লক্ষ যাত্রী ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেছেন, গত বছরের তুলনায় যা ১৬ লক্ষ বেশি। প্রায় প্রতিটি বিমানসংস্থাই বাড়িয়ে চলেছে তাদের বিমান-সংখ্যা। ইন্ডিগোর হাতে ৭০টি বিমান রয়েছে। আগামী বছরের শেষে আরও ৩০টি চলে আসবে। এ ছাড়া আরও ১৮০টি নতুন বিমান কিনতে চলেছে তারা।
ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ধুঁকতে থাকা এয়ার ইন্ডিয়াও। বিশ্বের আধুনিকতম বিমান ‘ড্রিমলাইনার’ চালাচ্ছে তারা। এখন রয়েছে ১০টি বিমান। আরও ১৭টি নতুন ড্রিমলাইনার কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১০ সালে দেশের ১৪% যাত্রী পরিবহণ করত এয়ার ইন্ডিয়া। যা বেড়ে এখন প্রায় ১৯% হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার কর্তা জি পি রাও মনে করেন, ভারতের বৃদ্ধির গতিকে গুরুত্ব দিতেই অরুণ মিশ্রের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
আইকাও-এর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির প্রধান হিসেবে আগামী বছর গোড়ায় ব্যাঙ্ককে দায়িত্বভার নেবেন অরুণবাবু। এখন পাক কূটনীতিক মোখতার আওয়ান ওই পদে রয়েছেন। অরুণবাবু এক সময়ে উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার জেলাশাসক হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “দোটানায় ছিলাম। মনে হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে ফিরে যাই। কিন্তু দেখলাম এই সুযোগ পেয়ে দেশের বিমান পরিবহণকে সাহায্য করতে পারব।” |
|
|
|
|
|