|
|
|
|
ইনফোসিসকে ধরে রাখতে জোড়া কৌশল রাজ্যের
গার্গী গুহঠাকুরতা • কলকাতা |
বিশেষ আর্থিক অঞ্চল (সেজ) জটে আটকে থাকা ইনফোসিসের লগ্নিকে হিমঘর থেকে বার করতে এ বার দ্বিমুখী কৌশল নিচ্ছে রাজ্য।
এক দিকে, কেন্দ্রের প্রস্তাবিত নতুন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (এসটিপি) প্রকল্পের হাত ধরে ইনফোসিসকে
|
নারায়ণমূর্তি |
|
পার্থ চট্টোপাধ্যায় |
বিভিন্ন আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। আর অন্য দিকে, উদ্যোগী হচ্ছে ইনফোসিসের প্রাণপুরুষ নারায়ণমূর্তির সঙ্গে নতুন করে আলোচনার দরজা খোলার জন্য। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প কমিটির কর্তা হিসেবে শীঘ্রই নারায়ণমূর্তির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তুলবেন এ রাজ্যে প্রথম ক্যাম্পাস গড়তে ইনফোসিসের প্রস্তাবিত লগ্নির কথাও।
দীর্ঘ আড়াই বছর পর নতুন করে এসটিপি প্রকল্প চালু করতে চলেছে কেন্দ্র। তার খুঁটিনাটি জানতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠিও লিখছে রাজ্য। সম্প্রতি ইনফোকমে যোগ দিতে কলকাতায় এসে এসটিপিআই কর্তা ওমকার রাইয়ের দাবি, এ বার নতুন মোড়কে কর ছাড়ের সুযোগ আনা হবে। ছোট ও মাঝারি শহরে ব্যবসা শুরু করলে, বিপুল আর্থিক সুবিধা মিলবে। ব্যবসা বাড়লে, বাড়বে ‘ইনসেন্টিভ’ও (উৎসাহ ভাতা)। কর-সহ আনুষাঙ্গিক খরচের প্রায় ৬০% ফেরত পেয়ে যাবে সংস্থাগুলি। অর্থাৎ, সেজ-এর সুবিধার সঙ্গে কিছুটা পাল্লা দিতে পারবে এসটিপি।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে ইনফোসিসের লগ্নি ঘিরে নয়া বিতর্কের সূত্রপাত সেজ-এর তকমা নিয়েই। এ বিষয়ে গোড়া থেকেই নিজেদের সেজ-বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করেছে তৃণমূল। অন্য দিকে, সংস্থাও বলে এসেছে যে, ওই তকমা ছাড়া লগ্নি করা তাদের পক্ষে অসম্ভব। পরে অবশ্য ইনফোসিস-কর্তা এস গোপালকৃষ্ণন বলেন, সেজ-এর বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় তাঁরা রাজি। উল্টো দিকে, রাজ্যও জানায়, তকমা নিয়ে আপত্তি থাকলেও সেজ-এর সমতুল্য সুবিধা দিতে তারা তৈরি। ফলে এসটিপি প্রকল্প জিয়ন কাঠির কাজ করতে পারে, মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
অবসর ভেঙে ইনফোসিসের শীর্ষ পদে ফেরা মূর্তিকে নিয়েও আশার আলো দেখছে রাজ্য। এ রাজ্যে সংস্থার ক্যাম্পাস তৈরির ইচ্ছা ২০০৫ সালে প্রকাশ করেছিলেন মূর্তিই। গত বছরের অগস্টেও কলকাতায় এসে প্রকল্প নিয়ে সংশয় উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এ বার এই ইতিবাচক মনোভাব কাজে লাগাতেই তাঁর সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে চান পার্থবাবু।
|
পুরনো খবর: শিল্পের দায় রাজ্যেরই, বার্তা ইনফোসিসের
|
|
|
|
|
|