|
|
|
|
মাছ চাষের তথ্য নেই বিশদে, মন্ত্রীর ভর্ৎসনা দফতরকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
জেলায় নদী, খাল বিলের সংখ্যা কত, কতটা জায়গাতেই বা মাছ চাষ হচ্ছে মহকুমায়, বিশদ তথ্য নেই জেলা মৎস্য দফতরের কাছেই। শুধু এই দফতর নয়, এই বিষয়ে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদেরও ধারণার অভাব রয়েছে--শুক্রবার মৎস্যচাষ উপলক্ষে কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতি ভবনে মাছ চাষ সংক্রান্ত সচেনতা শিবিরে এসে এ জন্য সরকারি আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিদের ভর্ৎসনা করলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। |
|
চলছে শিবির। —নিজস্ব চিত্র। |
গত পাঁচ দিন ধরে মহকুমা মৎস্য দফতরের উদ্যোগে পঞ্চায়েত সমিতি ভবনে চলছিল মৎস্য চাষের প্রশিক্ষণ শিবির। এ দিন ছিল তার সমাপ্তি অনুষ্ঠান। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ স্বপনবাবু অনুষ্ঠানে আসেন। অনুষ্ঠানে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “যে কালনা মহকুমায় অনুষ্ঠান হচ্ছে, সেখানে নদ, নদী, খাল, বিল-সহ অজস্র জলাশয় রয়েছে। কিন্তু তার কি কোনও ম্যাপ আছে? আমি জানি এ বিষয়ে আপনাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।” মন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে এখন চুনো মাছের তীব্র আকাল চলছে। মৌরলা, পুঁটি, চাঁদা-সহ বেশ কিছু মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্ধমান জেলায় ছড়িয়ে থাকা জলাশয়ে চুনো মাছ চাষের ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আধিকারিকদের উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, “আপনারা ব্লক ধরে জলাশয়ের মানচিত্র তৈরি করুন। জেলায় মৎস্যচাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগান। যদি সেটা না পারেন তাহলে সচেতনতা শিবির করে কোনও লাভ হবে না।”
স্বপনবাবু ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য আধিকারিক মোজাম্মেল হক, সহ মৎস্য অধিকর্তা দেবাশিস পাড়ুই, জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ অলোক মাঝি, কালনা ১ ব্লকের বিডিও সব্যসাচী রায়চৌধুরী। এ দিনের আলোচনা শিবিরে উপস্থিত মৎস্য বিশেষজ্ঞেরা জানান, পরিকল্পনার অভাবেই কালনা মহকুমা মাছ চাষে পিছিয়ে পড়ছে। উদাহরণ দিতে গিয়ে তাঁরা বলেন, এক বিঘা পুকুরে দেড় থেকে দু’হাজার চারাপোনা ছাড়া উচিত। তার জায়গায় ছাড়া হচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় হাজার চারাপোনা। ফলে মাছের অক্সিজেনের অভাব ঘটছে। ভোরের দিকে অক্সিজেন না পেয়ে মাছ জলের উপরে ভেসে উঠছে। অত্যধিক মাছের খাবার দেওয়াতেও মাছের অক্সিজেনের অভাব ঘটছে বলে জানান বিশেষজ্ঞেরা। এ ছাড়াও পাম্পসেট চালিয়ে কী ভাবে জলের মাছকে চাঙা রাখা যায়, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে জেলা মৎস্য আধিকারিককে জেলার জলাশয় নিয়ে আপনি কেন ওয়াকিবহাল নন, এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কত হেক্টর জমিতে মাছ চাষ হয়, সেই বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট ম্যাপ না থাকায় কোন মহকুমায় কত জায়গায় চাষ হয় সেই বিষয়ে তথ্য নেই। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে নজর দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|