চিতাবাঘের দেহাংশ উদ্ধার চা বাগানে
চিতাবাঘ মেরে চামড়া সহ মাংস কেটে নিয়ে গেল চোরাশিকারী। বৃহস্পতিবার সকালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া ভাটপাড়া বি চা বাগানের ২০ এন সেকশনে পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের মৃত দেহ দেখতে পান চা শ্রমিকেরা। পরে বন কর্মীরা গিয়ে দেখতে পান চিতাবাঘটির পেট থেকে পেছনের বাঁ পা পর্যন্ত ধারালো অস্ত্রে কেটে নেওয়া হয়েছে। গলাতেও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। গত অগস্টে দলগাঁও জঙ্গলের কাছে ধনীরামপুরে চিতাবাঘ গ্রামে ঢোকায় বন কর্মীদের সামনেই সেটিকে মেরে লোম নখ ও লেজ কেটে নেওয়া হয়। ফের এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন বনকর্তারা।
ভাটপাড়া বি চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার রাজেশ কৃষ্ণা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ২০ এন সেকশনে চা গাছে স্প্রে করছিল শ্রমিকেরা। সেই সময় নালায় চিতাবাঘটির মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে বিষয়টি পুলিশকে জাননো হয়। বনকর্মীদের একাংশ মনে করছেন, অন্য একটি চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াইয়ে এই চিতাবাঘটি মারা গিয়ে থাকতে পারে। পরে হয়তো স্থানীয় কেউ চামড়া সহ মাংস কেটে নিয়ে যায়।
ভাটপাড়া বি চা বাগানে বৃহস্পতিবার নারায়ণ দে’র তোলা ছবি।
তবে গলায় ক্ষতচিহ্ন ও পেছনের অংশ কাটা ছাড়া চিতাবাঘটির শরীরে অন্য চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াইয়ের চিহ্ন মেলেনি। তাই চিতাবাঘটি শিকারের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। চা শ্রমিক গোপাল লামা জানান, চিতাবাঘের দেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছে তার দুশো মিটারের মধ্যে বাগানের বাবুলাইন। চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই হয়ে থাকলে গর্জন শোনা যেত। দুই-এক দিনের মধ্যে সে রকম শোনা যায়নি। তাই চোরাশিকারিদের হাত থাকায় সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। চিতাবাঘটির শরীরের অংশ কুসংস্কারবশত কাটা হয়েছে বলে মনে করেন আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের চেয়ারম্যান অমল দত্ত। তিনি বলেন, “স্থানীয় জনজাতিদের মধ্যে নানা রকম কুসংস্কার রয়েছে। হয়তো সেই জন্যই চিতাবাঘটিকে মেরে চামড়া-সহ মাংস কেটে নেওয়া হয়েছে।”
বন দফতর সূত্রে জানা যায়, পুরষ চিতাবাঘটি দুই-এক দিনের মধ্যে মারা গিয়েছে। এ দিন তার পিছনের দিকের খানিকটা মাংস খুবলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল বন্যপ্রাণ উজ্জল ভট্টাচার্য। তিনি এ দিন বলেন, “চিতাবাঘের মাংস কেটে নেওয়ার খবর শুনেছি। বিষয়টি উদ্বেগের।” বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প উপক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেছেন, “চিতাবাঘটির পেছনের কিছুটা অংশ কেটে নেওয়া হয়, গলায় আঘাত রয়েছে। ময়নাতদন্তে সব স্পষ্ট হবে। চা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কালচিনি থানায় অভিযোগ জানাব।”

বেড়ালের জন্য
বেড়ালের মুখে খাবার তুলে দিতে ডাকাতি! জাপানের বাসিন্দা মামোরু ডেমিজু গত এক বছরে ৩২টিরও বেশি বাড়িতে চুরি-ডাকাতি করেছেন। পেটের দায়েই। তবে নিজের নয়। ১২০টি পোষা বেড়ালের জন্য। এ রকমই একটি চুরি করতে গিয়ে সম্প্রতি পুলিশের হাতে পড়েন বছর ৪৮-এর মামোরু। ধরা পড়ে পুলিশকে জানান, তিনি বেকার। তবে পোষ্যদের খাওয়াতে তাঁর দৈনিক খরচ হয় সাড়ে ১৫ হাজার টাকা। এ জন্য এক বছরে এক কোটিরও বেশি টাকা চুরি করেছেন তিনি। পুলিশের বক্তব্য, “সস্তার প্যাক করা খাবারে তাঁর মোটে ভরসা নেই। তাই রোজ উনি টাটকা মাছ-মাংস খাওয়ান পোষ্যদের। সাধে এত খরচ!”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.