কখনও একাধিক চেষ্টাতেও মিলছে না ফোন লাইন। কখনও লাইন পেলেও কথা শুরু হতেই তা কেটে যাচ্ছে। অনেক সময় লাইন পেলেও মোবাইলের দু’পাশের কেউই বুঝতে পারছেন না কথা। একদিন, দু’দিন নয়, অন্তত সাতদিন ধরে কোচবিহারে বিএসএনএলের মোবাইল পরিষেবার হাল এমনই বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের অনেকে বিএসএনএল পরিষেবা ছেড়ে বেসরকারি পরিষেবার দিকেও ঝুঁকতে চাইছেন। সংস্থার কোচবিহার অফিস ঘেরাও করে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতি। তাঁদের অভিযোগ, শুধু মোবাইল পরিষেবাই নয়, বিএসএনএলের ইন্টারনেট পরিষেবাও বেহাল হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী। জেলাশাসক বলেন, “এখন সরকারি সমস্ত কাজকর্ম অন লাইনে হয় কিন্তু ইন্টারনেট পরিষেবা বেশিরভাগ সময় না থাকাতে কাজ করতে অসুবিধায় পড়ছেন কর্মীরা। আমার নিজের অফিসে সমস্যা হচ্ছে। সমস্ত প্রশাসনিক দফতরে কাজের সমস্যা হচ্ছে। বিএসএনএল কর্তাদের বিষয়টি জানিয়ে লাভ হয়নি।” কোচবিহারের বিএসএনএল আধিকারিক সুরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “কলকাতায় কিছু যান্ত্রিক সমস্যা হয়েছে। তার জন্যই পরিষেবায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।”
বিএসএনএল সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলায় কয়েক হাজার মানুষ বিএসএনএল মোবাইলের গ্রাহক। এ ছাড়া প্রশাসনিক বিভিন্ন অফিসার জেলাশাসক, মহকুমাশাসক-সহ অনেকেই ওই পরিষেবার উপর নির্ভরশীল। সরকারি বিভিন্ন অফিস তো বটেই বেসরকারি অফিসেও বিএসএনএলের ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করা হয়। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “এক সপ্তাহ ধরে পরিষেবার যে হাল তাতে সবাই ক্ষুব্ধ। মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না। একটু পর পর লাইন কেটে যাচ্ছে। ইন্টারনেট পরিষেবা খারাপ। দ্রুত অবস্থার পরিবর্তন না হলে টেলিফোন জেলা অফিস ঘেরাও করে রাখা হবে।”
এ দিকে, অসমের ধুবুরিতে চারদিন ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। ফলে সেলট্যাক্স-সহ বিভিন্ন পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। সেলট্যাক্সের কাজ না হওয়ায় অসম সীমান্ত বক্সিরহাট দিয়ে কোনও পণ্যবোঝাই ট্রাক ঢুকতে পারছে না অসমে। ওই সীমান্তে ট্রাকের দীর্ঘ লাইন পড়ছে। |