সন্তান প্রসব করানোর পরে প্রসবদ্বার সেলাই করার সময়ে সূচ ভেঙ্গে রয়ে গেল শরীরে ভিতরে। বুধবার সকালে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের এই ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে প্রসূতির আত্মীয়-স্বজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতালের সুপার নির্মাল্য রায়ের কাছে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনার কথা স্বীকার করে সুপার দুঃস্থ পরিবারের ওই প্রসূতিকে নিজের খরচে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, “এক্স-রে করে সূচের অবস্থান দেখা হয়েছে। মহকুমা হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ওই মহিলাকে বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে।” পাশাপাশি তাঁর দাবি, ঘটনাটি বিরল নয়। আতঙ্কেরও কারণ নেই।
আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গোঘাটের ছোট ডোঙ্গল গ্রামের পূর্ণিমা দে নামের বছর উনিশের ওই প্রসূতিকে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১২টা নাগাদ ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বুধবার ভোর ৩টে নাগাদ তাঁর কন্যা সন্তানের স্বাভাবিক প্রসব হয়। পূর্ণিমার স্বামী শান্তনুর অভিযোগ, “প্রসব হয় ভোর ৩টে নাগাদ। ক্ষতস্থানে সেলাই করা হল সকাল ৮টা নাগাদ। পাঁচ ঘণ্টা লেবার রুমে ওই অবস্থায় পড়ে থেকে যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় স্ত্রীকে। রক্তক্ষরণও হয়েছে। তারপর যদি বা সেলাই হল, কিন্তু ভিতরে সূচ ভেঙে রয়ে গেল।”
প্রসঙ্গত, আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবের পরে সঙ্গে সঙ্গে প্রসবদ্বার সেলাই করা হয় না বলে আগেও অভিযোগ করেছেন বহু পরিবার। তা নিয়ে চিকিৎসক নিগ্রহের নজিরও আছে। এখনও সেই পরিস্থিতি বদল না হওয়ায়া হাসপাতাল কর্মীদেরই একাংশের ক্ষোভ আছে। নির্মাল্যবাবু অবশ্য বলেন, “এ রকম হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” |