টুকরো খবর
জমি-বিবাদে খুন কাকা, দুই ভাইপোর যাবজ্জীবন
জমির ক্ষতিপূরণ নিয়ে গোলমালের জেরে কাকাকে খুন করায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল দুই ভাইপোর। বুধবার এই রায় দেন পুরুলিয়া ফাস্ট ট্র্যাক ২ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সুতপা সাহা। মামলার সরকারি আইনজীবী সুবোধ চট্টোপাধ্যায় জানান, খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি মানবাজার থানার জামদা-ভাদসা গ্রামে। সে দিন বিকেলে নিজের বাড়ির দরজার কাছেই খুন হন মহাদেব শবর (৪৭)। তাঁকে কোদালের মতো ধারালো টামনা ও লাঠি দিয়ে খুন করে তাঁরই দুই ভাইপো কান্ত শবর ও শ্যাম শবর। ওই পরিবারের কিছু জমি স্থানীয় একটি জলাধার তৈরিতে চলে যায়। সেই জমির ক্ষতিপূরণ নিয়ে ওই দুই ভাইয়ের সঙ্গে তাদের কাকা মহাদেব শবরের ঝগড়া চলছিল। সেই গোলমালের মধ্যেই ওই দুই ভাই কাকাকে খুন করে। মহাদেব শবরের ছেলে বিভীষণ শবর কান্ত ও শ্যামের বিরুদ্ধে মানবাজার থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশ আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। মামলার বিচার শুরু হয় ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। এ দিন বিচারক অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

খুনের দায়ে বাবা-মা ও ছেলের যাবজ্জীবন সাজা
পড়শি খুনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল এক দম্পতি ও তাঁদের ছেলের। বুধবার বাঁকুড়া আদালতে এই সাজা ঘোষণা করেন জেলা অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অপূর্ব সিনহা রায়। সরকার পক্ষের আইনজীবী অমিয় চক্রবর্তী জানান, বাঁকুড়া সদর থানার বনকাটা গ্রামের বাসিন্দা দীপেন মালকে (৪০) খুনের অপরাধে পড়শি দিলীপ মাল, তাঁর স্ত্রী মধু মাল ও ছেলে প্রশান্ত মালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০০০ টাকা জরিমানা ধার্য হয়েছে। খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১২ সালের ১০ জুলাই। দীপেনবাবু পুকুর থেকে স্নান করে বাড়ি ফেরার পথে দেখেন তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তায় কোদাল ও শাবল গর্ত করছেন দিলীপ ও তাঁর ছেলে। দীপেনবাবু এর প্রতিবাদ করতে গেলে দু’জনের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন দিলীপের স্ত্রী মধুও। এর পর তিনজনে কোদাল ও শাবল নিয়ে দীপেনবাবুর উপর চড়াও হন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সে দিনই বাঁকুড়া সদর থানায় ওই তিন জনের বিরুদ্ধে দীপেনবাবুকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর দাদা মদন মাল। পুলিশ তদন্ত করে ওই বছরেই ৮ অগস্ট ঘটনার চার্জশিট জমা দেয়। মাঝে মধু ও তাঁর ছেলে জামিনে ছাড়া পেলেও দিলীপ জামিন পাননি।

হাম্প ভেঙে রাস্তা সংস্কার
বিষ্ণুপুর-সোনামুখী রাস্তা থেকে হাম্প ভেঙে রাস্তায় সংস্কার করল প্রশাসন। মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী ব্লক এলাকায় ওই রাস্তা থেকে হাম্প ভেঙে দেয় প্রশাসন। দুই ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন পূর্ত (সড়ক) বিভাগের আধিকারিকরা। পাথরমোড়া, কোচডি, শিবেরবাঁধ, ধুলাই ইত্যাদি গ্রামে হাম্পগুলি ভাঙা হয়। বুধবার রাস্তার ওই ভাঙা অংশে মেরামত করে দেয় প্রশাসন। মহকুমা শাসক (বিষ্ণুপুর) পলাশ সেনগুপ্ত বলেন, “এ বার থেকে ওই রাস্তা দিয়ে সবাই নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন। হাম্পের জন্য আর অসুবিধায় পড়তে হবে না।”

ট্রেনে কাটা, মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে বিষ্ণুপুর স্টেশনের কাছে তেজপাল এলাকায়। ওই যুবকের নাম শ্যামসুন্দর বাগদি (২০)। ওই এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। বিষ্ণুপুরের স্টেশন ম্যানেজার দীপক দত্ত জানান, পুরুলিয়া-খড়্গপুর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.