যাতায়াতের রাস্তা বাশের বেড়া দিয়ে বেঁধে দেওয়ার ঘটনায় বিতর্ক ছড়িয়েছে পুরুলিয়ার বোরো থানার মুরগাডি গ্রামে। এক সপ্তাহ ধরে গ্রামের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। আর তার জেরে বিপাকে পড়েছেন মুরগাডি-সহ আশপাশের কিছু গ্রামের লোকজন। গত মঙ্গলবার থেকেই ওই রাস্তা লাগোয়া গ্রাম নুনা, চাতরা, ধবনী, রাধামাধবপুর প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করতে পারছেন না। বাঁশের বেড়া যাঁরা দিয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই গ্রামবাসীদের তরফে লখীরাম মুর্মু, নিতাই হেমব্রমের দাবি, “ওটা সরকারি রাস্তা নয়। আমাদের রায়তি জায়গা। তার স্বপক্ষে নথিপত্রও আছে আমাদের কাছে। এটা ঠিক, বহু লোক ওই রাস্তা ধরে যাতায়াত করে। সাধারণের সুবিধার কথা ভেবে আমরা আপত্তি করিনি। সম্প্রতি আমরা পূব খাটতে বর্ধমান গিয়েছিলাম। এসে দেখি, আমাদের বাড়ির উঠোনের সীমানা পাঁচিলের গা ঘেঁষে মোরাম ফেলা হয়েছে। রাস্তা চওড়া করার নামে জায়গা দখল করার চেষ্টা হয়েছে।” সে জন্যই তাঁরা বাঁশের বেড়া দিয়ে ‘নিজেদের’ জায়গা ঘিরে দিয়েছেন বলে দাবি লখীরাম ও নিতাইয়ের।
রাধামাধবপুর গ্রামের অমর মাহাতো, ধবনী গ্রামের সজল মাহাতোরা বলেন, “ওই রাস্তা ধরে আমরা দীর্ঘকাল যাতায়াত করছি। কখনও এমন সমস্যা হয়নি। বাজার-হাটে বা স্কুল যেতে ওই রাস্তাই আমাদের ভরসা। এখন জারাগড়া গ্রাম দিয়ে ঘুরপথে বোরো যেতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। কবে সমস্যা মিটবে, বুঝতে পারছি না।” পুলিশ জানিয়েছে, এই নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে, এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য এ দিন গ্রামে গিয়ে সমাধানসূত্র বার করার চেষ্টা হয়েছিল। কেউ উপস্থিত হননি। বোরো পঞ্চায়েতের প্রধান গীতা মাহাতো জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা গ্রামবাসীরা ব্যবহার করেন। সম্প্রতি ওই রাস্তায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে মোরাম ছড়ানো হয়েছিল। প্রধানের বক্তব্য, “কারও বাড়ি বা উঠোনের মধ্যে মোরাম ছড়ানো বা জায়গা দখল করার অভিযোগ ঠিক নয়। ওই গ্রামের বাসিন্দাদের ডেকে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি।” |