পাকা পিচের রাস্তার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন এলাকার মানুষ। মন্ত্রী, সাংসদ থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কারও কাছেই দাবি জানাতে কসুর করেননি। রাস্তা অবরোধও করেছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত তাঁদের দাবি মেনে জেলা পরিষদের তরফে পিচের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হল বুধবার।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির অধীন খোশদেলপুর থেকে মালিগ্রাম (ভাড়া ইদগা) পর্যন্ত পিচের রাস্তাটি বেশ কয়েক বছর ধরে বেহাল। খানাখন্দে ভরা ঝামা ইটের ওই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। গ্রামবাসীরা জানান, বর্ষায় রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়। স্কুলে যেতে অসুবিধায় পড়ে পড়ুয়ারা। ফসল নিয়ে যেতে হলে চাষিদের পরিবহণ খরচ অনেকটাই বেড়ে যায়। ছোট গাড়ি ছাড়া রাস্তায় গাড়ি চলাচল করা যায় না। রাতে রোগী নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। এমনকী রাস্তায় সন্তান প্রসবের মতো ঘটনাও ঘটেছে। বুধবার ওই রাস্তা তৈরির কাজের সূচনা করেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন। উপস্থিত ছিলেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নেহার আলি, স্থানীয় পৃথিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লিপিকা দাস। এই উপলক্ষে ইদগায় একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় এ দিন।
পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার ওই রাস্তাটি ঝামা ইটের ছিল। প্রধানমন্ত্রী সড়ক রোজগার যোজনা প্রকল্পে রাস্তাটি পিচের করা হচ্ছে। খরচ হবে প্রায় ৩ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। হাবরা পুরসভা ও অশোকনগর-কল্যাণগড় পুর এলাকার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে ওই রাস্তা। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। তা ছাড়া হাড়োয়া, শাসনের মানুষও দ্রুত যাতায়াত করতে পারবেন।
এ দিন বদরহাট থেকে যশুর পর্যন্ত আরও একটি ঝামা ইটের রাস্তা পিচ করার কাজ শুরু করেন জাকির হোসেন। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই পিচের রাস্তা তৈরিতে খরচ হবে ১ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা। এই রাস্তাটিও হাবরা পুর এলাকার সঙ্গে মিশবে। জাকির বলেন, “দু’টি রাস্তা পিচের করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষ দাবি করে আসছেন। বাম জমানায় ওই কাজ করা হয়নি। ৮ মাসের মধ্যেই দু’টি রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যাবে। পরিবহণ সমস্যা মেটার পাশাপাশি কাটবে চাষিরাও সহজে ফসল নিয়ে বাজারে আসতে পারবেন।” |