ধৃত পাচার চক্রের দুই পাণ্ডা-সহ চার
কটি পাচার চক্রের দুই পাণ্ডা-সহ গ্রেফতার করা হল মোট চার জনকে। এক নাবালিকাকে পাচার ও বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাদের। ধৃতদের নাম গৌরব, স্বপ্না, রাধা এবং সোনিয়া। এদের মধ্যে প্রথম দু’জনকে মঙ্গলবার এবং বাকিদের সোমবার দিল্লি থেকে ধরা হয়।
৬ ডিসেম্বর মেরঠ থেকে চোদ্দ বছরের ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। গত জুন মাসে ভাঙড়ের বাসিন্দা ওই নাবালিকা নিখোঁজ হয়। তার পরিবারের তরফে প্রথমে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। নভেম্বরে ঘটনাটির তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। তারা জানতে পারে, রাজেশ নামে স্থানীয় এক যুবক ওই মেয়েটিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। পুলিশ জানায়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই নাবালিকাকে পাচার ও বিক্রির অভিযোগে আগেই ভাঙরের বাসিন্দা ওই যুবক রাজেশকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অরুন্ধতী নামে এক তরুণীকেও, যে ওই কাজে রাজেশকে সাহায্য করেছিল। তারা পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
ওই দু’জনকে গ্রেফতারের পরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই নাবালিকাকে দিল্লিতে নিয়ে তিন বার বিক্রি করা হয়েছে। এর পরেই দিল্লি রওনা দেন সিআইডির একটি দল। সেখানে গিয়ে মেরঠের যৌনপল্লি থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। দিল্লি থেকে সোমবার গ্রেফতার হয় রাধা নামে এক মহিলা। ওই নাবালিকাকে জেরা করে দিল্লির বাসিন্দা সোনিয়া নামে আর এক মহিলাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। অভিযোগ, রাজেশ ওই মহিলার কাছেই মোটা টাকায় মেয়েটিকে বিক্রি করেছিল। জানা যায়, সাদিপুরের বাসিন্দা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার গৌরব এবং তার বান্ধবী স্বপ্নার মাধ্যমেই ওই নাবালিকাকে শেষ মেরঠে বিক্রি করা হয়েছিল। তারা হরিদ্বার পালানোর চেষ্টা করলেও শেষে মঙ্গলবার ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। স্বপ্নার কাছ থেকে মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এক নাবালিকাকেও উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত চার জনকে আজ বৃহস্পতিবার কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.