বহির্বাণিজ্যে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল। সারাদিনে অসংখ্য পণ্যবোঝাই ট্রাক ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চাচ করে। এ ছাড়া দু’দেশেরই প্রচুর মানুষ নানা প্রয়োজনে যাতায়াত করেন। কিন্তু যাত্রী, গাড়িচালকদের জন্য বন্দরে নেই কোনও শৌচাগার। ফলে নিত্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। পাশাপাসি যত্রতত্র শৌচকর্মের ফলে এলাকার পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। শুল্ক দফতর, অভিবাসন দফতর এবং বিএসএফের জন্য শৌচাগারের ব্যবস্থা থাকলেও সাধারণ মানুষের জন্য এখনও শৌচাগারের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেননি বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে গড়ে প্রায় দু’হাজার মানুষ প্রতিদিন বন্দরে আসেন। দু’দেশের নাগরিকেরা ছাড়াও থাকেন বিদেশিরাও। প্রতিদিন প্রায় কয়েকশো ট্রাক চালক ও খালাসি আসেন বন্দরে। এ ছাড়া নানা ব্যবসার কাজেও নিত্য অনেক মানুষ আসেন। কিন্তু এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শৌচাগার না থাকায় ক্ষোভ রয়েছে সকলেরই। তা ছাড়া শৌচাগার না থাকায় অনেকে বাধ্য হয়েই যত্রতত্র শৌচকর্ম করেন। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েন মহিলা যাত্রীরা। বেশি অসুবিধা হলে তাঁরা অভিবাসন ও শুল্ক দফতরের কর্তাদের অনুরোধ করে তাঁদের শৌচাগার ব্যবহার করেন। |
কেন্দ্রীয় সরকার বন্দর উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সুসংহত চেকপোস্ট তৈরি করছে, কিন্তু যাত্রীদের কথা ভেবে একটিও শৌচাগার কেন তৈরি করা হয় না তা নিয়ে প্রশ্ন সকলেরই। সমস্যার কথা স্বীকার করে পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের তরফে শুভেন দাশগুপ্ত জানান, বন্দর এলাকায় শৌচাগার নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে অনুরোধ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তৃণমূলের বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “জায়গা পেলে বিধায়ক তহবিলের অর্থে শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হবে।” |