সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় আর কোনও কাঁচা রাস্তা থাকবে না। অল্প দিনের মধ্যেই সব রাস্তায় ইট পড়বে। পড়বে পিচ। বুধবার, সুন্দরবন দিবসের অনুষ্ঠানে এমনটাই অঙ্গীকার করলেন সুন্দরবন উন্নয়ন এবং সেচ ও জলপথ দফতরের প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর কমিউনিটি হলে এ দিন সুন্দরবন দিবসে বক্তৃতা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “সুন্দরবনের ১০২টি দ্বীপের উন্নয়নের যে দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে দিয়েছেন, তা ঠিকভাবে পালন করতে চেষ্টা করব।” |
প্রসঙ্গত, এত দিন ২৪ অগস্ট সুন্দরবন দিবস পালন করা হত। এ দিনের সভায় মন্টুরাম বলেন, “১৯৮৭ সালে ইউনেস্কোতে বিশ্বের বনাঞ্চল নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ১১ ডিসেম্বর তারিখটি সুন্দরবন দিবস হিসাবে পালন করার পরিকল্পনা হয়।” এ দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে সুন্দরবন বিষয়ক দফতরের প্রথম মন্ত্রী কাশীনাথ মৈত্র, নিমপীঠের স্বামী সদানন্দ, মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল, হাড়োয়ার বিধায়ক জুলফিকার আলি মোল্লা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাপতি রহিমা মণ্ডল, জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল প্রমুখ। মঞ্চে কাশীনাথ মৈত্রকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তবে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করতে গিয়ে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন কাশীনাথবাবু। একটু পরে সুস্থ হয়ে ফের মঞ্চে উঠে বক্তৃতা করেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমার আশা, মমতার নেতৃত্বে সুন্দরবন জাগবে। বিরোধীদের আসতে হবে। গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে।” সুন্দরবনে উন্নয়নের প্রশ্নে এ দিন মন্টুরাম বলেন, “পরিবেশ বান্ধব শিল্প হলে স্বাগত। কিন্তু পরিবেশ ধ্বংস করে, এমন কোনও শিল্প আমরা এখানে বরদাস্ত করব না।” |
ইতিমধ্যেই সাগরদ্বীপে ইকো ট্যুরিজম চালু করার জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছে ৩৬০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। সুন্দরবনের মধু সংরক্ষণ করে বিশ্বের বাজারে বিক্রির পরিকল্পনা করেছে ইউনেস্কো। এ ছাড়াও সুন্দরবনের উন্নয়নের জন্য ৩০০ কোটি টাকা ধার্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
|