জমি, জল, নিকাশি ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, সড়ক ও নিরাপত্তা-সহ শিল্প পরিকাঠামোর যাবতীয় ব্যবস্থা প্রস্তুত। প্রয়োজন কেবল উদ্যোগপতিদের উদ্যোগ। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া রেজিনগর শিল্পতালুক সম্পর্কে বুধবারের সচেতনতা শিবিরে উদ্যোগপতিদের সামনে এ জাতীয় আরও বেশ কিছু লোভনীয় দিক তুলে ধরেন রাজ্য শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার জয়দেব ঘড়া ও মুর্শিদাবাদ জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। ৫৩ জন উদ্যোগপতি এ দিনের শিবিরে যোগ দেন। জয়দেববাবু বলেন, “১৮৭ একর জমি জুড়ে রেজিনগরের শিল্পতালুকে প্লট রয়েছে ৩২১টি। ৩টি প্লট ইতিমধ্যে বিলি করা হয়ে গিয়েছে। ৫ কাঠা থেকে ৯০ কাটা পর্যন্ত এক একটি প্লটের আয়তন। ওই শিল্পতালুকে মোট প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্ম সংস্থান হবে।”
জয়দেববাবু বলেন, “জল, নিকাশি ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, সড়ক, অফিস, পাঁচিল ও নিরাপত্তা-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো প্রস্তুত। তার জন্য খরচ হয়েছে ৬০ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা।” দেবাশিসবাবু বলেন, “৯৯ বছরের জন্য জমি লিজ দেওয়া হবে। মেয়াদ শেষে লিজের সময় বাড়ানো যাবে। বর্তমানে প্রতি কাঠা জমির জন্য দিতে হবে দেড় লক্ষ টাকা। বার্ষিক খাজনা জমির দামের শতকরা ২ টাকা। লিজ বাবদ টাকা দিতে হবে দু’টি কিস্তিতে। প্রথম কিস্তি ৩০ দিনের মধ্যে ও পরের কিস্তি ৬০ দিনের মধ্যে দিতে হবে। রেজিনগর শিল্পতালুকের জমি নিলে ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়া সহজ হবে। কেউ চাইলে ৫ বছর পর জমি হস্তান্তরও করতে পারেন।” ২০০৬ সালে রেজিনগর শিল্পতালুকটির শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন মুখমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তার পর পরিকাঠামো গড়তে ৭ বছরেরও বেশি সময় গড়িয়ে গেল কেন? জয়দেববাবু বলেন, “শ্লথ গতির জন্য আমাদের কিছুটা দায় রয়েছে।”
কাটোয়ার উদ্যোগপতি কমল পাটোয়ারি রেজিনগর শিল্পতালুকে ৩ একর জমিতে রাজ্যের সর্ব বৃহৎ আটাকল তৈরি করতে ইচ্ছুক। আগামী ১৭ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের সময় তাঁর হাতে থেকে জমির লিজপত্র পেতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, “ওই দিন জমি পেলে আমার প্রস্তাবিত রাজ্যের সর্ব বৃহৎ ফ্লাওয়ার মিলে ৩ মাসের মধ্যে উৎপাদন শুরু করে দেব। ওই প্রকল্পে প্রাথমিক ভাবে ৮০ থেকে ১৫০ জনের কর্মসংস্থান হবে। পরে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে কর্মসংস্থানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে দেড় হাজারে।” |