|
|
|
|
অসুস্থ ছাত্রী তালাবন্দি স্কুলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
অসুস্থ ছাত্রীকে তালাবন্দি করে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটল মহিষাদলের বাসুলিয়া বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্থানীয়রা ঘণ্টা দু’য়েক পর শ্রেণিকক্ষের দরজা ভেঙে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘটনায় কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিন্দ্য প্রামাণিক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যান গোপাল সাউ বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক। বৃহস্পতিবার ঘটনার তদন্তে একটি দল পাঠানো হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসুলিয়া গ্রামেরই বাসিন্দা দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী অরুণিমা দিন্দা স্কুল চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে এ দিন। বমিও করে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিন্দ্য প্রামাণিক বলেন, “বমির পর ওই ছাত্রীকে বাড়ি ছেড়ে আসার কথা বলা হয়। কিন্তু সে নিজেই যেতে চায়নি। বেঞ্চেই ঘুমিয়ে পড়ে। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে বৈঠক থাকায় আমি চলে যাই। অন্য শিক্ষকদের নজর রাখতে বলা হয়েছিল।”
স্কুলে ছিলেন চার শিক্ষক। স্কুল ছুটি হওয়ার পর শিক্ষকরাই তালা লাগিয়ে বাড়ি চলে যান। তখন থেকে সন্ধ্যা অবধি বেঞ্চেই ঘুমিয়ে ছিল ওই ছাত্রী। স্কুলের সামনের মাঠে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের খেলার বল ওই শ্রেণিকক্ষের জানলায় লাগলে আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় অরুণিমার। সে চিৎকার করে ওঠে। তাই শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করেন ওই ছাত্রীকে। খবর পেয়ে আসেন অনিন্দ্যবাবু। তার সাইকেলেই ছাত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
অরুণিমার বাবা নারায়ণ দিন্দা গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত। তিনি বলেন, “মেয়ে না ফেরায় আমাদের দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। ভেবেছিলাম হয়ত কোথাও খেলছে। এমনটা হতে পারে ভাবিনি।” তাঁর প্রশ্ন “অসুস্থ হওয়ায় পরও শিক্ষকরা কেন তাঁদের বিষয়টি জানালেন না! স্কুল থেকে মাত্র চার মিনিটের হাটাপথে গ্রামীণ হাসপাতাল থাকলেও প্রথমেই কেন অরুণিমার চিকিৎসা করা হল না?”
উত্তর মেলেনি। প্রধান শিক্ষক শুধু বলেন, “আমি লজ্জিত। অত্যন্ত অমানবিক কাজ হয়েছে।” |
|
|
|
|
|